মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
Headline
খুলনার মশিয়ালি ভুল বুঝাবুঝির একপর্যায়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু যখম কুমিল্লায় কাজ ছেড়ে আদালত ফটকে বসে পড়েছে আদালতের কর্মচারীরা নরসিংদীতে বিচার বিভাগ কর্মচারীদের কর্মবিরতি মাদকের টাকা না পেয়ে গর্ভ ধারিণী মাকে পিটিয়ে হত্যা কুমিল্লা চান্দিনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬ শত পিছ ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক-৫ সুন্দরবনে ডিম ফুটে ‘বাটাগুর বাসকা’র ৬৫ বাচ্চার জন্ম। বাগেরহাটে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতি।। কুষ্টিয়ায় ভুক্তভোগীদের হাতে নারী প্র-তা-র-ক আ-ট-ক কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ঘর নির্মাণের মাটি খুঁড়তেই দৃশ্যমান হলো লাল ইটের প্রাচীন দেয়াল খুলনার ফুলতলায় ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য রাজা গ্রেফতার
Headline
Wellcome to our website...
“আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস”
/ ২৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ন

আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস”

মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ।

আজ -১৭ রমজান।
১৪৪৪ হিজরি সালের ১৭ রমজান।

“আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস”-

দ্বিতীয় হিজরির এই দিনেই বদরের প্রান্তে সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম ‘সত্য ও মিথ্যার’ মধ্যকার যুদ্ধ।এই বদর যুদ্ধে-১ হাজর সৈন্যের কাফিরদের বাহিনীতে অশ্বরোহী ছিল ৩০০ জন,উট ছিল ৭০০টি ও বর্ম ছিল ৬০০ জনের। বিপরীতে মুসলমানদের ৩১৩ জনের মধ্যে উট ছিল,মাত্র-৭০টি। ঘোড়া ছিল মাত্র ৩টি এবং বর্ম ছিল মাত্র ৬০ জনের। আল্লাহ তায়ালা সেই যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দান করেছিলেন,এই বদর প্রান্তরে।

বদর দিবস সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্দেশক।
১৭ রমজান। ঐতিহাসিক বদর দিবস। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে তথা দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজানে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক যুদ্ধ। প্রতিপক্ষ ছিলো মক্কার মুশরিক ও মদিনার মুসলিমগণ।

এতে মুসলমানদের সেনা সংখ্যা ছিল মাত্র-৩১৩। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হয়েও কাফিরদের বিশাল বাহিনীর ওপর বিজয় লাভ করেছে। কোরআন কারিমে এই যুদ্ধকে সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে।ইসলামের ইতিহাসে এই যুদ্ধের অসামান্য গুরুত্ব রয়েছে। নিম্নে এই যুদ্ধের কিছু শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হলো—

**শিক্ষা মুলক দিকঃ-

১। পরামর্শ করে কাজ করা
রাসুল (সা.)-এর সব কাজকর্ম ওহি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ সব কাজে সাহাবাদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। বদর যুদ্ধের সময় রাসুল (সা.) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাহাবাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। রাসুল (সা.) মূলত মদিনা থেকে বের হয়েছিলেন আবু সুফিয়ানের ব্যাবসায়িক কাফেলাকে পাকড়াও করার জন্য। পথিমধ্যে তিনি জানতে পারলেন কুরাইশরা তাদের কাফেলাকে রক্ষা করার জন্য সদলবলে যাত্রা করছে। তখন তিনি সাহাবাদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন—এ মুহূর্তে কী করা উচিত,ইত্যাদি।
মুসলমানরা কি যুদ্ধ করবে, নাকি মদিনায় ফিরে যাবে। তখন রাসুল (সা.) মুহাজির ও আনসারদের পরামর্শে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই যুদ্ধে রাসুল (সা.) হাব্বাব ইবনে মুনজিরের পরামর্শে যুদ্ধের অবস্থানস্থল পরিবর্তন করেন। অনুরূপভাবে রাসুল (সা.) বদরের বন্দিদের ব্যাপারেও সাহাবাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

২। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণঃ-
যেকোনো কাজে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। উপযুক্ত ব্যবস্থা কিংবা উপকরণ গ্রহণ করা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়। বদর যুদ্ধের সময় দেখা রাসুল (সা.)সাধ্যমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। রাসুল (সা.) তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ ও সাঈদ ইবনে জায়েদকে পাঠিয়েছিলেন আবু সুফিয়ানের ব্যাবসায়িক কাফেলার খবর নিতে। অনুরূপভাবে রাসুল (সা.) আদি ইবনে জাবা ও বাসবাস ইবনে আমরকে বদরপ্রান্তে পানি খোঁজ করার জন্য প্ররণ করেছেন।

৩। আল্লাহর কাছে দোয়াঃ-
দোয়া হচ্ছে মুমিনের হাতিয়ার। দোয়া বিজয় ও সাফল্যের চাবিকাঠি। রাসুল (সা.) যেকোনো বিপদের সময় দোয়ার প্রতি খুব গুরুত্ব দিতেন। বদর যুদ্ধের সময় রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে বিনয়াবনত হয়ে রোনাজারি করেছেন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য পার্থনা করেন। ইরশাদ হয়েছে,‘স্মরণ করো যখন তোমরা নিজ প্রতিপালকের কাছে ফরিয়াদ করেছিলে,তখন তিনি ফরিয়াদের সাড়া দিয়ে বললেন- আমি তোমাদের সাহায্যার্থে এক হাজার ফেরেশতার একটি বাহিনী পাঠাচ্ছি, যারা একের পর এক আসবে।
(সুরা আনফাল,আয়াত : ৯)

৪। সাহায্য একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেঃ-
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হলো বিপদ কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মনোবল হারায় না, বিচলিত হয় না। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করে আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। বদর যুদ্ধে দেখা যায়-য়ে মুসলমানদের সেনা সংখ্যা অবিশ্বাসীদের তুলায় অনেক কম ছিল। মুসলমানদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ও বাহন বলতে ছিল ৭০টি উট, দুটি ঘোড়া এবং ৬০টি বর্ম। এ যুদ্ধ প্রমাণ করে যে বিজয় কিংবা সাফল্যের ওপর সেনা সংখ্যাধিক্যের কোনো প্রভাব নেই।

৫। মুনাফিকদের ষড়যন্ত্রঃ-
যুগ যুগ ধরে মুনাফিকদের উপস্থিতি রয়েছে। তারা ইসলামের লেবাস পরে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। বদর যুদ্ধের দিনেও তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। মুমিনরা যখন সম্পূূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় কাফিরদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধন্ত নিল,তখন মুনাফিকরা বলল, মুসলিমরা নিজেদের দ্বিনের ব্যাপারে ধোঁকার মধ্যে রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো মুনাফিক ও যাদের অন্তরে ব্যাধি ছিল, তারা যখন বলেছিল,তাদের (মুমিনদের) দ্বীন তাদের বিভ্রান্ত করেছে। অথচ কেউ আল্লাহর ওপর ভরসা করলে মহান আল্লাহ তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা আনফাল, আয়াত : ৪৯)

৬। অহংকার পতনের মূলঃ-
অর্থাৎ-মক্কার কাফিররা নিজেকে খুব ক্ষমতাবান মনে করত। আত্ম-অহমিকা ও অহংকারের কারণে কেউ তাদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত না। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা মক্কায় মুসলমানদের ওপর বর্ণনাতীত নির্যাতন করেছিল। যুদ্ধের দিনও মুসলমানদের তুলনায় তাদের সেনা সংখ্যা ও যুদ্ধ সুরঞ্জাম অনেক বেশি ছিল। এ নিয়ে তারা অহংকারও করেছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের অহংকার ও ক্ষমতার দাপট মাটিতে মিশিয়ে দিলেন। বদর যুদ্ধে আবু জাহেল,উতবা, শাইবা ও উমাইয়ার মতো কুরাইশদের বড় বড় সর্দার নিহত হয়।

এই ঐতিহাসিক বদর থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। পরামর্শ ভিত্তিক,উপযুক্ত সময় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ।কাফেরদের ষড়যন্ত্র প্রতি লক্ষ্য রেখে।দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হোক মূল শিক্ষা। আসুন সবাই আমাদের এই শিক্ষাই হোক জীবনের মুল পথে ইত্যাদি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page