ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হয়েই কোটিপতি সেরাজুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জঃ
২৫/০৮/২০২৪
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম (৪৫)। তৃতীয় শ্রেণির এই চাকরির ১১তম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন ৩২ হাজার ২৪০ টাকা। এই বেতনে চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন উল্লাপাড়া শহরের পান কেন্দ্রে আলিশান ফ্ল্যাটে।
এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন। রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা উইনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের কৃষক সুজাবত আলীর বড় ছেলে নায়েব সেরাজুল ইসলাম ।
সেরাজুল ইসলাম ( ০৭-০৬-২০০৭ ইং সালে) ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে চাকরি তে যোগদান করেন। এরপরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে জমি খারিজ, খাজনা, নামজারি ও পর্চার কাজে ঘুস নিয়ে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই সেরাজুল ইসলাম কে ঘুস দিতে হয়।
সরেজমিনে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সেরাজুল ইসলাম নায়েব চাকুরী নেওয়ার পরে । তিনি তার গ্রাম পূর্ব ফরিদপুর তার বাবা সুজাবত আলীর দুই বিঘা ফসলি জমি থেকে এখন তিনি ২০ বিঘা ফসলি জমির মালিক এবং তার গ্রামের বাড়িতে বাপ দাদার পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন করে জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন।
সেরাজুল ইসলাম তার চাকুরীর ১৭ বছরে ২০ বীঘা ফসলি জমির এবং একটি জমিদার বাড়ির মালিক হয়েছে, য়ার প্রত্যেক বিঘা জমির মূল্য আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা করে। সরজমিনে সংবাদকর্মীরা তার এলাকায় গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সেরাজুল ইসলাম নায়েবের চাকরি নেওয়ার আগে ওর বাবা সুজাবত আলীর এত সয় সম্পত্তি ছিল না। কিন্তু সেরাজুল ইসলাম চাকরি নেওয়ার পরে মনে হয় উনারা যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে। অনিয়ম ও-দুর্নীতি ছাড়া একজন সরকারি কর্মচারীর এত সম্পদ অর্জন সম্ভব নয়।
চান্দাইকোনা ইউনিয়নের শিমলা গ্রামের ভুক্তভোগী জব্বার শেখ বলেন, ‘জমির খারিজের সরকারি ফি ১১,৭০ টাকা কিন্তু নায়েব সেরাজুল ইসলাম এবং তার অফিস সহায়ক কোমল আমার কাছ থেকে ঘুস নিয়েছিল ১০,০০০ হাজার টাকা। নায়েব সেরাজুল ইসলাম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদ কর্মীদেরকে বলেন, যে আমার সম্পত্তি আমি যেভাবে ক্রয় করি না কেন সেটা আপনাদের জানার বিষয় নয়। নায়েব সেরাজুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে যা পারেন লেখেন আমার কিছু যায় আসে না।
উক্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন