ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের
ঈদের শুভেচ্ছা।
শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক পবিত্র ঈদুল-উল-আযহা: ওসি মোঃআশাদুর রহমান, পবিত্র ঈদুল-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃআশাদুর রহমান, শুক্রবার (০৬ জুন) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, “ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক পবিত্র ঈদুল-উল-আযহা। এই পবিত্র দিনে আমরা স্মরণ করি হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.)-এর মহান ত্যাগের কথা, যা আমাদের শিক্ষা দেয় আত্মোৎসর্গ, ধৈর্য ও সহমর্মিতা।”তিনি আরও বলেন, “ঈদুল আযহার শিক্ষা আমাদের পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করে। আসুন, সবাই মিলে সামাজিক সম্প্রীতি ও শান্তি রক্ষায় সচেষ্ট হই এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে হৃদয়ে ধারণ করে একটি সহনশীল সমাজ গড়ে তুলি।”ওসি মোঃআশাদুর রহমান ঈদের সময় গলাচিপা থানার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, গলাচিপা থানা পুলিশ ঈদ উদযাপনকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।তাকাবাল্লাহু মিনহা ওয়া মিনকুম, পবিত্র ঈদুল-উল-আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক প্রতিটি জীবন দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত সকলকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা, আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে মুসলিম উম্মার প্রতি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা, একটি বছর ঘুরে আবার ফিরে এলো ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির পর্ব “কুরবান”।এ বছরের ঈদ মুসলিম সমাজে আলো দূরে নিয়ে যাক নিকষ কালো নতুন সূর্য। নতুন বছর হোক নতুন শপথে চলার অঙ্গীকার।আগামীর দিনগুলো আমাদের জন্য হোক শান্তির, আনন্দ ও নিরাপদ। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে উৎসব। ঈদ মানে সাম্য। ঈদ মানে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। ক্ষুদ্রতার ঊর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা। বৃহৎ এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া। ঈদ মানে সবাই মিলে সুন্দর থাকা। ঈদের আমেজ ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে। মানুষে মানুষে ভালবাসার বন্ধন সুদৃঢ় হোক। স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে দেশ, পৃথিবী হোক আলোকিত। দেশের মানুষের জীবন হোক স্বস্তির, দীপ্তিময় ও নির্মল আনন্দের।ঈদ উল আযহা আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে এক হতে শেখায়। অভাবী এবং দুস্থ ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার প্রেরণা দেয়।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা মুসলিম জাহানের কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঈদের দিন নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানী দিয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন