

কালিয়াকৈরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা।
কালিয়াকের(গাজীপুর)প্রতিনিধি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আন্দার মানিক পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক শিশু(১২) মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক র্ধষনের অভিযোগ উঠেছে এক চা দোকানদারের বিরুদ্ধে ।এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।তবে এ ঘটনার পর থেকেই ওই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে ।
অভিযুক্ত চা দোকানদার হলেন, খুলনা জেলার দিঘলীয়া উপজেলার দেব নগর দেয়াড়ী গ্রামের সায়েম সরদারের ছেলে নওশের আলী সরদার(৫৬) ।সে উপজেলার মৌচাক আন্দারমানিক এলাকার মনির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে লেবারের কাজ ও চায়ের দোকানের ব্যবসা করতেন ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, গত ৯ জুন রাত আটটার দিকে ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মশলা কেনার জন্য পাশের একটি দোকানে গেলে পথিমধ্যে নওশের ওই শিক্ষার্থীকে পাশের একটি নির্মানাধীন ভবনের নিচ তলায় নিয়ে জোর পূর্বক ধষণের চেষ্টা করেন ।পরে বিষয়টি কাউকে না বলতে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয় ।এদিকে এ ঘটনার প্রায় ৭ দিন ফের ওই শিক্ষার্থীর আরেক সহপাঠিকে ৩০০ টাকার লোভ দেখিয়ে কু প্রস্তাব দিলে ওই শিক্ষার্থী রেগে উঠেন ।এসময় নওশের জানান তোমার ওই বান্ধবীকে ২০০ টাকা দিয়ে আকাম করেছি তুমি রাজি থাকলে তোমাকে ৩০০ টাকা দিবো ।এদিকে ওই সহপাঠী নওশের কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি ধর্ষনের শিকার ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবাকে বিষয়টি জানায় ।এদিকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই র্ধষন কারীকে আটক করার চেষ্টা করলে ।নওশের গোপনে বিষয়টি জানতে পেয়ে গা ঢাকা দেয় ।এ ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ।এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রজু হয়েছে । অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।