

কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটক-২
এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এড. আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুমিল্লা মহানগরীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া (৪২) ও মো. ফাহিম নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
রবিবার (৩০মার্চ) সকালে নগরীর বিজয়নগর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে যৌথবাহিনী।
আটককৃত আসামি মো: বাচ্চু মিয়া (৪২) মো: ফাহিম কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলির বাসিন্দা।
যৌথবাহিনী সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর এলাকায় যৌথ টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কুমিল্লা মহানগরীর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. ফাহিম নামে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তদের কাছ থেকে গাঁজা ও ৫টি মোবাইলের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য , গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল ও সহিংসতা শুরু হয়। আদালতে সহিংসতার খবর শুনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে যাওয়ার পথে কুমিল্লা হাইস্কুল এলাকায় হামলার শিকার হন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে।
এসময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরো ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, আটককৃত আসামি বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। রবিবার দুপুরে আটককৃত আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।