

কুমিল্লা তিতাসে যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি; কথিত সাংবাদিক ও ডাকাত সদস্য গ্রেফতার
এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে অনুমোদনহীন ফেসবুক পেইজে ক্রাইম বার্তার রিপোর্টার পরিচয়ে এক যুবককে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন ও দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি।
মঙ্গলবার (২৬মে) বিকেলে তিতাস উপজেলার আসমানীয়া বাজার সংলগ্নে এলাকাবাসীর সহায়তায় অপহরণকারী চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্য ও কথিত সাংবাদিক আবু মূসাসহ দুজনকে আটক করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, ভিকটিমের বরাত দিয়ে জানা যায়, চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্য আব্দুল গাফফার ও কথিত সাংবাদিক আবু মুসাসহ গত ২৩ মে বিকেলে তিতাসের খলিলাবাদ গ্রাম থেকে সাজিম হাসান (২২) নামে এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী সাজিম খলিলাবাদ গ্রামের মোঃ জাহিদ হোসেনের ছেলে ।
এ ঘটনায় আটককৃত আসামি আবু মুছা (৩৫) দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউপির সিঙ্গুলা গ্রামের মৃত দুলাল মুন্সীর ছেলে এবং থানার তালিকাভুক্ত ডাকাত গাফফার (৩৪)।
মামলার বাদী ভিকটিমের পিতা ও মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, অপহরণের পর ভিকটিমকে অপহরন করে আসামী আবু মুসার বাড়ীতে আটকে রেখে নানা ভাবে শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের নিকট বিভিন্ন মাধ্যমে দের লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে ভিকটিমকে আসামী আবু মুছার বাড়ি থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করাতে আসমানীয়া বাজার এলাকায় এলে ভিকটিমের চিৎকারে বাজারের আশেপাশের লোকজন তাদের আটক করে।
এলাকাবাসীর সহায়তায় ভিকটিম কে উদ্ধার ও আসামীদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের পিতার এজাহারের প্রেক্ষিতে তিতাস থানার মামলা (নং-১৭) রুজু করে ধৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
এদিকে ইলিয়টগঞ্জ ও দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাংবাদিকতা করার মত নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কথিত সাংবাদিক মূসার। প্রাইমারি পাশ না করলেও রাজমিস্ত্রীর কাজ ছেড়ে দিয়ে হঠাৎ করেই নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে এলাকায়। মাদক কারবার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের বিষয়েও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। দাউদকান্দি থানা ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সিএনজি থেকে টোকেন দিয়ে চাঁদা আদায় করে বলেও জানান ভুক্তভোগী সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।