কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে বলৎকারের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ। আটক-১
এ.কে পলাশ কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে জোড়পুকুরিয়া এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম একজনকে আটক করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার (১মে) দুপুরে নিহত শিশু ছোটনের পিতা আনোয়ার হোসেন হানিফ বাদি হয়ে মৎস্য খামারের পাহারাদার সাইফুল ইসলামকে আসামী করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত শাখাওয়াত হোসেন ছোটন (৭) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন হানিফের ছেলে। আটককৃত আসামি সাইফুল ইসলাম (১৬) একই বাড়ির মাহবুবুল হকের ছেলে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, নিহত শিশু ছোটন বুধবার দুপুরে খেলতে গিয়ে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজির পর এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ি সংলগ্ন মাওলানা সাইফুল্লাহ ভূঁইয়ার মৎস্য খামার থেকে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর পাঠায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে নিহত ছোটনের বাবা আনোয়ার হোসেন হানিফ বলেন, বুধবার দুপুরে তার ছেলেসহ ৪ শিশু বাড়ীর পাশে বাগানে বোতলের ডাকনা দিয়ে খেলা করছিলো। খেলা করা অবস্থায় প্রলোভন দেখিয়ে সাইফুল আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সাইফুলের কাছে ছোটনের বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে ভূঁইয়া বাড়ি মাদরাসা পর্যন্ত গিয়ে ছোটন চলে এসেছে। রাতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করি। পরে সকালে সাইফুলের মাধ্যমে জানতে পারি সে যে মৎস্য খামারে চাকুরী করে সেই খামারে আমার ছেলের লাশ ভাসছে। হানিফ আরো বলেন, তার ছেলেকে বলৎকার করে সাইফুল হত্যা করেছে। এছাড়াও তার অপর ছেলের সাথেও সাইফুল ১বছর পূর্বে একই কাজ করেছে বলেও জানান হানিফ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক জানান, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটির মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটির পিতার করা মামলায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত সাইফুল ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন