

গাইবান্ধার গিদারী ইউনিয়নের চিরাকুঠী খেয়াঘাটে অবৈধ চায়না জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মোঃ জাহিদুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা।
চায়না জালে ছেয়ে গেছে গাইবান্ধার পূর্ব অঞ্চল।মরন
বেধিতে পরিনত হচ্ছে মৎস্য খাত।তাইতো গাইবান্ধা
সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের চিরাকুঠী খেয়াঘাট সংলগ্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করেছে ফুলছড়ি নৌ পুলিশ। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) বিকেল গড়িয়ে সন্ধার পূর্ব মুহুর্তে ফুলছড়ি নৌ পুলিশ এস আই হাবিবুর রহমান হাবির এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন । এ সময় কাউকে আটক করা হয়নি।
সরেজমিনে উপস্থিত হলে চোখে পরে উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের চিরাকুঠী খেয়াঘাটের আশেপাশে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল বা ডারকি জালের ফাঁদ পেতে দেশীও মাছ শিকার করছে স্থানীয় লোকজন। পরে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল অপসারণের জন্য নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে অবৈধ ১০-১৫ টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এই চায়না দুয়ারী জালের মূল্য আনুমানিক ৫০,০০০ টাকা।
চায়না জাল সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়,এ জাল গুলা এমন এক ধরনের জাল যা মৎস্য জগৎকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এ জালে মাছের পাশাপাশি কাকরা,সাপ সহ অনেক উপকারী জীব আটকা পড়ে। যা প্রকৃতিক ভারসাম্যকে নষ্ট করছে।এ জাল গুলো মাটির সাথে লেগে থাকে বলে সব প্রকৃতির মাছ এ জালে ধরা পরে।
আর এক ব্যক্তি জানায় এ জালের প্রকোপ এতটাই বেড়ে গেছে যে আমরা সখের বসে নদী কিংবা বিলে মাছ ধরতে গেলে খাবার জন্য সামান্য মাছও পাইনা। এ যেন মরন ব্যাধী চায়না জালের অভিশাপ। তাইতো আজ এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি থানার নৌ পুলিশ এস আই হাবিবুর রহমান হাবিব, সহকারী নৌ পুলিশ আসাজুজ্জামান, নৌ পুলিশের টিম,গিদারী ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসু আল হীরু সহ স্থানীয় লোকজন।
অভিযানকারীরা জানান, আমাদের বিশেষ অভিযানে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ চায়না জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে সেগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভবিষ্যতে এমন অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।