চলনবিলে মা মাছ নিধনের মহাউৎসব
আহমাদুল রহমান 24hrs tv
উজান থেকে গড়ে আসা ঢলের পানি আর বৃষ্টির কারণে চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদী ও খালের পানি মিশেছে বিলের পানিতে। এ সময় মা মাছ ডিম ছাড়তে চলে আসে পানির কিনারে। এ সুযোগে জেলেরা মেতে উঠেছে মা মাছ নিধনের মহাউৎসবে। তারা বড়শি কোচ, জুতি, খড়াজাল, মইজাল, বাদাই জাল, কারেন্টজালসহ মাছ ধরার নানা উপকরন দিয়ে নির্বিচারে ডিমওয়ালা মা মাছ ধরছেন। আর এসব মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার।
উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দলবেধে এ অঞ্চলের মানুষ, চলনবিলের খালে গিয়ে বড় বড় বোয়াল মাছ ধরছেন। একেকটা মাছের ওজন ৫ কেজি থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত । মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মোঃ আশিকুর রহমান নয় কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ধরেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮শত টাকা কেজি দর।
এছাড়া হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার মাছ শিকারী আব্দুল মালেক জানান, শনিবার সকালে তিনি ১০কেজি ওজনের একটা ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ (পীরের মাছ) ধরেছেন। পরে গ্রামেই সেই পীরের মাছ ৮শত টাকা কেজি দরে বিক্রী করেছেন। তিনি মাছটি ধরেছেন হাটিকুমুরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৮নং ব্রীজ এলাকায় চলনবিলের খালে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মশগুল আজাদ জানান, ডিমওয়ালা মাছ নিধনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বেড় জাল, সোঁতিজাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জন সচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন