চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে প্রকাশ্যে সরকারি বাওড় ও মালিকানা জমি থেকে তোলা হচ্ছে বালি হুমকির মুখে রাস্তাসহ চাষের জমি প্রশাসন নিরব।
স্টাপ রিপোর্টারঃ চুয়াডাঙ্গা জীবননগরে নামে বে-নামে দিনে কিংবা রাতে সরকারি বাওড় বা মালিকানা জমি থেকে তোলা হচ্ছে বালি হুমকির মুখে সরকারি রাস্তাসহ চাষের জমি প্রশাসন নিরব।
সরেজমিনে দেখা গেছে,জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর মোড়ে একতারপুর বাওড়ের পাশে নিমান করা হচ্ছে একটি পাক যে টির কাজের জন্য ইতোমধ্যেই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে কাজ চলমান আছে ।তবে একতারপুর বাওড়ে ডেজার মেশিন ভিড়িয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে সেখান থেকে বালি তুলে পাকের বিভিন্ন স্থানে ভরাট করছে ।এ যেন দেখার কেউ নেই ।যেখান থেকে বালি তোলা হচ্ছে এর পাশেয় ব্যস্থতম হাইওয়ে রাস্তা যেখানে অবস্থিত একটি পোল ফ্যাক্টরি প্রতিদিন বড় বড় ট্রাক পোল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে থাকে ।এই বাওড় থেকে বালি উত্তোলন করলে যে কোন সময় একটি বড় ধরনের দুঘটনা ঘটতে পারে ।বালি তোলার বিষয় জানতে চাইলে দায়িত্বরত মিস্ত্রিরা কথা বলতে রাজি হয়নি ।
একই অবস্থা জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন চাকলা গ্রামে যেখানে সয়ং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম তার নিজস্ব পুকুর খননের নামে সেখানে বালি তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছে ।তার বালি তোলার ফলে একদিকে যেমন রাস্তা ভাঙ্গার সম্ভবনা রয়েছে অপর দিকে পাশের কৃষি জমির ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।স্থানীয়দের দাবি এর আগেও নজরুল মেম্বার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার এই পুকুর থেকে বালি তুলে বিক্রয় করেছে এবারও নাকি ইউএনওর অনুমতি নিয়ে বালি তুলছে।
শুধু রায়পুর কিংবা একতারপুর নয় মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামের বেশ কিছু ব্যাক্তি মিলে ধোপাখালী নদী থেকে বালি তুলছে এ যেন বালি তোলার মহাউৎসব চলছে ।
রায়পুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,আমার পুকুরটা খনন না করলে মাছ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না এ জন্য ডিসি ও ইউএনওর অনুমতি নিয়ে পুকুরটি খনন করছি এখানে কোন বালি বিক্রয় করছি না শুধু মাত্র ইউএনও অফিসের কিবরিয়া আমার নিকট থেকে ১৫ গাড়ি বালি নিয়েছে।
উথলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মোঃ ইউনুছ আলীর সাথে বালি তোলার বিষয় কথা বললে তিনি বলেন,একতারপুর বাওড় থেকে বালি তুলছে এটা আমি দেখেছি তবে এটা ইউএনও স্যার নিজে দেখভাল করে এ জন্য আমি যায়নি তা ছাড়া এটা টেন্ডার হয়েছে এটাও আমি জানিনা ।আর ধোপাখালী একটি পুকুর খননের জন্য ইউএনও স্যারের অনুমতি আছে তবে যদি কেউ অবৈধ ভাবে বালি তোলে তা হলে এ বিষয়টা ইউএনও স্যারকে বলবো।
হাসাদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন,পুরাতন চাকলা গ্রামে নজরুল মেম্বার তার পুকুর থেকে বালি তুলছে এমন একটা সংবাদ শোনা মাত্র তার সাথে কথা বলেছি সে বলে ইউএনও স্যার তাকে বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে ।যদি ইউএনও স্যার কাউকে অনুমতি দেয় সে ক্ষেতে তো আমাদের তো কিছু করার নেই ।তবে আমাদের কাছে কোন তদন্তের জন্য ও কোন কাগজ না দেওয়ায় আমি এ বিষয়টি ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কমকতা মোঃ সালাউদ্দিনের কাছে বললে তিনি বলেন এটা ইউএনও স্যার জানে ওখান থেকে তিনি কিছু বালি নিচ্ছে আপনার কিছু বলার দরকার নেই ।এ জন্য আমি আর কিছু বলিনি ।
জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ আল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিপ না করায় তিনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন,জীবননগরে কোথাও মাটি বা বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি ।যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।##
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন