

জামাইকে হত্যার দায়ে শ্বশুর ও তার তিন ভাই কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
মোঃ জুবায়ের হাসান, শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের চাঞ্চল্যকর পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের হারুন অর রশিদকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কৃর্তৃক নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরসহ আপন তিনকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার শাহজাদপুর আদালতে প্রেরণ করলে আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে তাদের সব দোষ স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শাহজাদপুর
সার্কেল পিপিএম কামরুজ্জামান, সাংবাদিকদের জানান, আসামীদের গত সোমবার দুপুরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে শিক্ষক হারুন অর রশিদ খান হত্যার প্রধান তিন আসামী নিহতের শ্বশুর ফখরুল মোল্লা (৪৫) তার আপনদুই ভাই মুকুল মোল্লা (৪৬) ও ইদ্রিস মোল্লা (৪০) কে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে তাদের শাহজাদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা তাদের দোষ স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, শাহজাদপুর উপজেলা পোরজনা ইউনিয়নের গাজী আলাউদ্দিন খান আলোর ছোট ছেলে শিক্ষক হারুন অর রশিদ খান তার স্ত্রী রেখা খাতুনকে শরীয়া আইন মোতাবেক তালাক দেয় নিহত হারুন পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন রতন গঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী রেখা খাতুন উশৃংখল জীবন যাপন ও পরকীয়ায় লিল্ত থাকার ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় তিন মাস পুর্বে শিক্ষক হারুন শরিয়া মোতাবেক তার স্ত্রীকে তালাক দেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বড়মহারাজ পুর গ্রামের তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, চাচা দুলাল মোল্লা ও ইউপি সদস্য হাশেম এর নেতৃত্বে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গত (২৪ মে) শুক্রবার রাতে অস্ত্রের মুখে হারুন কে তারা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পোরজনা মাঠের মধ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ১৯ জন কে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের পরিবারের দাবি একটাই তাদের ছেলে কে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানান।