জুলাইয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে বাংলাদেশে যাবে ভারতের ট্রেন"
মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টাঃ সমগ্র বাংলাদেশ।
ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুই দেশে বৈদেশিক চুক্তি করে আসছে ন। এর এই ধারাবাহিকতা
ভারত ও বাংলাদের মধ্যে একটি রেল চুক্তি সম্পন্ন করেন। যাহা রেল ট্রানজিট নামে অনেকের মাঝে অনেকের মাঝে পরিচিতি লাভ করে।
আর, জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে একটি মালবাহী ট্রেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রেল( ট্রানজিট) নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন।
পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।
ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’
এই দু"দেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে, এমনটাই করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে।
আর সময়ও লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা ইত্যাদি।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন