টানা দুইদিনের অভিযানেও মিলল না জোড়া খুনের মাথা ।
রিপোর্টার
আরিফুল ইসলাম
বগুড়ায় সেনা সদস্য আজিজুল হকের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন তারই ১১ মাস বয়সের ছেলে আবদুল্লাহ আল রাফি ও তার স্ত্রী আশামণি (২০)।
গত ই রবিবার (০২ জুন) বেলা ১২ টার দিকে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বনানীতে অবস্থিত শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে মা ও ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় শিশু রাফির দেহ খাটের নিচে বস্তা বন্দী অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে আব্দুল্লাহ আল রাফির দেহ থাকলেও তার মাথাটি সেখানে ছিল না।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিশুটির বাবা সেনা সদস্য আজিজুল হককে আটক করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন সেনা সদস্য আজিজুল হক। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে আজিজুল তার ১১ মাস বয়সী পুত্র সন্তান রাফির বিচ্ছিন্ন মাথাটি রাজাবাজারে পাশে করোতোয়া নদীর উপর অবস্থিত ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলেছেন। এই প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে রাজশাহী থেকে একটি ডুবুরী দল এসে সেখানে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। নদীতে অতিরিক্ত কুচুরিপানা ও সন্ধ্যা নেমে আসায় প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান।
আজ সোমবার (০৩জুন) সকাল ১০টা থেকে সেখানে আবারো বিছিন্ন মাথাটি খুঁজতে ডুবুরি দল তাদের অভিযান চালান। এ সময় সেখানে উপস্থিত করা হয় আসামি আজিজুলকে। আসামি আজিজুলের দেখানো স্থানেই রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরী দলসহ আইনশৃঙ্খলার বাহিনীরা সেখানে বিচ্ছিন্ন মাথাটি খুঁজতে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও আবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ডুবুরী দলসহ প্রশাসন।
তবে পরবর্তীতে আবারো অভিযান করবেন বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন