

নরসিংদীর শিবপুরে পরিবহন থেকে চুরি ও ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে তিন মহিলা চোর আটক।
আবুনাঈমরিপন: নরসিংদী :
নরসিংদীর শিবপুরে বরইতলা বাস স্ট্যান্ডে মিনি বাস যাত্রী তানজিনা আক্তার (৪৫) এর গলায় থাকা বারো আনি স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা চুরির কায়দায় ছিনতাই করে পালানোর সময় উপস্থিত জনতা তিন মহিলা চুরকে আটক করে গনপিটুনি দেওয়ার সময় এক জন চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে শিবপুর মডেল থানার পুলিশ তিন মহিলা চোরকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যান । গ্রেফতারকৃত চোররা হলো, ১, নং শরিফা বেগম (২৫), স্বামীঃ সাহেদ মিয়া, পিতা মৃতঃ ফুল মিয়া ফুল মিয়া, সাং ধর মন্ডল (০৩ নং ওয়ার্ড) চকবাজারের কাছে, থানাঃ নাসির নগর , জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২ নং মর্জিনা আক্তার (৩৫) স্বামীঃ পলাশ, পিতা মৃতঃ বাচ্চু মিয়া, শশুর মৃতঃ মারাজ মিয়া, সাং বাসাশ্বরা , থানাঃ মাধবপুর , জেলাঃ হবিগঞ্জ। ৩নং সুলতানা ওরফে সুজানা (৩৫), স্বামীঃ ফজলু মিয়া, শশুর উম্মেদ আলী সাং ধর মন্ডল ৩নং ওয়ার্ড চকবাজারের কাছে) থানাঃ নাসির নগর, জেলাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ অজ্ঞাত নামা একজন চোর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিবপুর মডেল থানায় তানজিনা আক্তার , স্বামী, সায়মন আহমেদ সাং চগরিয়া, থানাঃ ও জেলাঃ নরসিংদী বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলার নং ১২, তাং ১৩/৬/২০২৫ ইং এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শিবপুর মডেল থানার অফিসার দেরকে জনসাধারণ ধন্যবাদ জানান । কারণ এদেরকে ধরা হলেও ট্রাফিক পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে দিন দিন চুরি , ডাকাতি,ছিনতাই, অপহরণ, কারিরা ,দলগত ,সঙ্গবদ্ধ চক্রগুলোর
তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা খুবই উশৃংখল মহিলা,এরা নিজেরাই চুরি অথবা ছিনতাই করে ভালো মানুষের কাজ থেকে জোরপূর্বক মার পিঠ করে, টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, সাধারণ পাবলিক আগাইয়া আসলে সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি সাধারণ মানুষকে চোর অপবাদ দিয়ে মারপিট করতে থাকে । এগুলা বেশিরভাগ সাধারণ পরিবহন ও মিনি বাসে ওঠে , অথবা সিএনজি বা মাইক্রো বাস এর মাধ্যমে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। এরা দিবারাত্র এই সমস্ত অপকর্ম করে থাকে।নরসিংদী সদর জেলখানার মোড়ের আশেপাশে তাদের আস্তানা, এই গ্রুপের মধ্যে শতাধিক মহিলা সদস্য আছে,১৫/২০ জন হিজলা বেশে মহিলাও তাদের সাথে জড়িত আছে। প্রায় ২০/২৫ জন পুরুষ সদস্য জড়িত, এছাড়া ও কিশোর গ্যাং সদস্য তাদের এই গ্রুপের সাথে জড়িত রয়েছে। যে কোন স্টেশনে এরা জনতার হাতে আটক হলে একটি ফোন দিতে পারলে দ্রুত ২০-২৫ জন তাদের সহযোগী আসিয়া অপরাধী দেরকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের মামলা পরিচালনা করার জন্য বেশ কয়েকজন উকিল ও মুহুরী নিয়োজিত রয়েছে । ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তার অভাবের কারণে তাদেরকে প্রতিহত করতে পারছেন না। এরা ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ পর্যন্ত ছিনতাই ও চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনসাধারণ প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত যানবাহনে জনসাধারণের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহনের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছেন।