সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
Headline
Headline
Wellcome to our website...
নাগরিক উদ্যোগ কতৃক আয়োজিত আরজেএমএফ সদস্য এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে উপজেলা পর্যায়ে বার্ষিক পর্যালোচনা সভা।
/ ১৭৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৫:১৬ অপরাহ্ন

নাগরিক উদ্যোগ কতৃক আয়োজিত
আরজেএমএফ সদস্য এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে উপজেলা পর্যায়ে বার্ষিক পর্যালোচনা সভা।

শাহ মোঃ জাহিদ হোসেন, রংপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ-

গতকাল ১ জুলাই নাগরিক উদ্যােগ পীরগাছা উপজেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে বার্ষিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জনাব, আবু নাছের মাসুদ
( উর্দ্বতন কর্মসূচি কর্মকর্তা )
জনাব, আবুল বাশার ( চেয়ারম্যান ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদ)
জনাব, জাহাঙ্গীর আলম জালাল ( আরজেএমএফ সদস্য)।
জনাম মোঃ মাহবুবুর রহমান লাঞ্চু ( সাবেক উপজেলা সভাপতি নাগরিক অধিকার দলে) বর্তমান আরজেএমএফ সদস্য।
জনাব, মোঃ হান্নান মন্ডল ( রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য)
জনাব, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ( অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক)

উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঃ- নাগরিক অধিকার দলের সাবেক উপজেলা সভাপতি
জনাব, মোঃ মাহবুবুর রহমান লাঞ্চু।

পর্যালোচনা সভায় বক্তারা আরজেএমএফ এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।

রেস্টোরেটিভ জাস্টিস অ্যান্ড রেডিয়েশন ফোরাম ( আরজেএমএফ) সদস্য ও সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে বার্ষিক পর্যালোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নাগরিক উদ্যোগ,র সহায়তায় স্হানীয়ভাবে রেস্টোরেটিভ জাস্টিস অ্যান্ড মেডিয়েশন ফোরাম সদস্য এলাকায় সম্পাদিত সালিশযোগ্য বিরোধ নিষ্পত্তির সফলতা, প্রতিবন্ধকতা বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে চলমান কার্যক্রমের উন্নয়নে আরো কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যােগ গ্রহণ করা হবে।

সামাজিকভাবে আমরা যদি সচেতনতা বাড়াই, তাহলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা হবে না। মামলা দিন দিন কমে যাবে। এর জন্য উদ্যােগ নিতে হবে। আমাদের সারাদেশে যে সংখ্যক বিচারক আছেন, তারা প্রতি বছর নতুন দায়ের করা মামলার ৮০ শতাংশ শেষ করতে পারেন।বাকী ২০ শতাংশ থেকে যায়। যদি মামলা করার প্রবনতা না কমে, তাহলে মামলা কোনদিনই শেষ হবে না।সমাজে কোন ঘটনায় দ্রুত মামলা দায়ের না করে সামাজিক সালিশ ও বিচারের মধ্য দিয়ে মীমাংসা করলে মামলা কমে যাবে।

গত সেপ্টেম্বর ২০২৩- থেকে জুন ২০২৪ ইং পযন্ত মোট ১শত ৩৬টি সালিশযোগ্য বিরোধ স্হানীয় পর্যায়ে আরজে ও সালিশের মাধ্যমে মীমাংসায় সহযোগিতা করা হয়েছে। এসব বিরোধ মীমাংসার মাধ্যমে মোট = ১৮,০৯,১০০/- ( আঠারো লক্ষ নয় হাজার একশত) টাকা ও ৩৪৬.৫ শতক জমি ভুক্তভোগীদেরকে আদায় করে দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২০২৩ হইতে মে ২০২৪ পর্যন্ত সালিশ ও আরজে’র জন্য অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছিল ১৭০টি তার মধ্যে ১১০ টি সালিশ, ৬০ টি আরজে।

সালিশ ও আরজের মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছে মোট ১৩৬ টি তার মধ্যে ৭৬টি সালিশ, আরজে ৬০ টি।
মোট টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে ১৮,০৯,১০০/-
(আঠারো লক্ষ নয় হাজার একশত ) টাকা।
জমি আদায় করে দেওয়া হয়েছে ৩৪৬.৫ শতক।
উপকারভোগী পুরুষ ১৬৩ জন, নারী হলো ১৪২ জন।
সর্বমোট উপকারভোগী সংখ্যা হলো মোট ৩০৫ জন।

উল্লেখ্য যে গৃহীত অভিযোগের মধ্যে পারিবারিক কলহ- ১৩০ টি, জমিসংক্রান্ত বিবাদ মিমাংসা ১৬টি ও দাম্পত্য বিরোধ সমঝোতা করা হয়েছে ০৬টি অভিযোগ।
নিবন্ধিত সালিশের মাধ্যমে মোট ১৪,৪৭,৫০০ (চৌদ্দ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত টাকা নগদ) ও ২,৪০,০০০/- ( দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার ঘরের আসবাবপত্র ) এবং ১১ শতক জমি আলোচনা সাপেক্ষে আদায় করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্যিত সালিশে ২০ জন উপকারভোগি ( পুরুষ ৩জন ও নারী ১৭ জন) প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে।

আরজে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে = ৩,৬১,৬০০/-( তিন লক্ষ একষট্টি হাজার ছয়শত ) টাকা ও ৩৩৫.৫ শতক সম্পত্তি আলোচনা সাপেক্ষে আদায় করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখিত আরজেতে ১৫জন ( পুরুষ ১৩ জন নারী ০২ জন) প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page