

নিষিদ্ধ ড্রেজার বন্ধে বাধা, প্রতিশোধে ১৫ লাখ টাকার গাছ কাটা।
মো. আরিফুল ইসলাম ইরান
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে পাথর উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় শাখার সহ-সভাপতি কাজী মকছেদুর রহমান এর প্রায় ১৫ লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তেঁতুলিয়া উপজেলার বড়বিল্লাহ গ্রামে।
ভুক্তভোগী কাজী মকছেদুর রহমান অভিযোগ করেন, তাঁর চাচা কাজী মাহবুবুর রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পৈত্রিক জমির দুই শতাধিক ইউক্যালিপটাস ও ফলন্ত আমগাছ কেটে নিচ্ছেন। সাত দিন ধরে চলমান এই গাছ কর্তনের বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ২ এপ্রিল এবং পরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপারের কাছে ৮ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলা বড়বিল্লাহ গ্রামের চা বাগান ও আমবাগানের মাঝে কাঠ ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহর নেতৃত্বে ও মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা চলছে। ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক কড়াত দিয়ে গাছ কাটছেন এবং কয়েকটি ভ্যানে করে গাছ লোড করে নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহ জানান, “আমি কাজী মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকায় শতাধিক গাছ কিনেছি। আজ সেগুলো কেটে নিচ্ছি।”
বাপা নেতা কাজী মকছেদ জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে খতিয়ান নম্বর ২৬১ ও দাগ নম্বর ৪০১৩ এর জমি ভোগ দখল করে আসছেন। তিনি বলেন, “আমি পরিবেশ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চাচার জমিতে অবৈধভাবে চালু থাকা ২১টি ড্রেজার বন্ধ করিয়েছি। এরই প্রতিশোধ হিসেবে তারা আমার জমির গাছ কেটে নিচ্ছেন।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত কাজী মাহবুবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওই জমিতে কাজী মকছেদের কোনো মালিকানা নেই। সব কিছুই আমার। সে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মুসা মিঞা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই আসাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জমির মালিকানা ও গাছের অধিকার নির্ধারণে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।