

“নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ২০টি গ্রাম প্লাবিত চরম দূর্ভোগে সাধারন মানুষ”
মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টাঃ সমগ্র বাংলাদেশ।
ময়মনসিংহ ধোবাউড়ায় টানা দুই দিনের বর্ষণ ফলে, এবং পাহাড়ী ঢলে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে, এবং পানি বন্দ হয়ে চরম দূর্ভোগে সাধারন জনগণ।
জানা যায়, গত সোমবার বিকাল থেকে মুষলদারে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গতকাল (মঙ্গলবার) রংণসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নেতাই নদীর বাঁধ এবং রহমতের বাজারের পাশে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া এবং গামারীতলা ইউনিয়নের বতিহালা, কালিনগর, গপিণপুর কাওয়ারকান্দা, চরের ভিটা, বেতগাছিয়া, বহরভিটা, উদয়পুর, হরিণধরা,আঙ্গরাকান্দা, আটাম, পাতাম, রায়পুর, কামালপুর, চান্দেরনগর, গৌরীপুর, রংসিংহপুরসহ অন্তত ২০ টি গ্রামের বেশি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে শত শত মানুষজন। পানিবন্দী হয়ে পরছে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি বাড়ির উঠানে বন্যার পানিসহ ঘরের ভিতর থইথই পানি। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট, চরম সংকটে রয়েছে গবাদি পশু নিয়েও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তাদের এমতা অবস্থায় সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণ।
গামারীতলা ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের মইজ উদ্দিনের বাড়িটি নেতাই নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে নিয়ে গিয়েছে,ঘটনা স্থানে আমরা গিয়ে দেখতে পাই।
এ বিষয়ে গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান এ বিষয়ে -“24hrs TV”(কলকাত) কে ” জানান “ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন আরও বলেন-পাহাড়ী ঢলে ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে বলে এ কথা বলে আশ্বস্ত করেন।
এদিগে- আজ বুধবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেন সংসদ মাহমুদুল হক সায়েম এমপি সাহেব। এ সময় সঙ্গেও ছিলেন গামারীতলা ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান সাহেব,ইত্যাদি।