শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
Headline
Wellcome to our website...
প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চান হিন্দা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
/ ২৪২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৩:০৬ অপরাহ্ন

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চান হিন্দা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

রাশেদ ইসলাম, জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার “হিন্দা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে”র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা মুখি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপরোয়া গতিতে নিজের ইচ্ছা মত পরিচালনা করে যাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজাবর রহমান। স্কুলের আয়ের উৎস অনুযায়ী বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের শেসান ফি একেক রকম হলেও থাকে একটি নিয়ম কানুন। তবে নজাবর রহমান সে নিয়ম কানুন কে তোয়াক্কা না করে চলতি বছরের প্রথম দিকে শেসান ফি ৪০০ টাকা করে নিয়েছেন। বিনিময়ে মেলেনি উক্ত টাকা প্রদানের রশিদ। এমন কি একি শিক্ষার্থী কে একাধিক বার ফি প্রদানের জন্য চাপ দিয়েছেন নজাবর রহমান। স্কুল টিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অপরাধের ব্যারাজাল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসদ আচরণ ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে স্কুল পরিচালনা করা এবং ম্যানেজিং কমিটিকে পাত্তা না দিয়ে তহবিল তছরুপ করার একাধিক প্রমান পাওয়া গেছে। স্কুলের দশম শ্রেণির কয়েক জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন, আমাদের শেসান ফি নেওয়া হয় কিন্তু তার বিনিময়ে রশিদ প্রদান করা হয়না। এছাড়া মাসিক পরিক্ষার নামে টাকা আদায় করেন, বিনিময়ে আমাদের রেজাল্ট শিট প্রদান করা হয়না। আর শেসান ফি প্রদানের পরে স্যার আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছেন, আমাদের গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে স্যারেরা ফ্যানের নিচে বসে, আর আমাদের কপালে জোটে ফ্যান বিহিন জেলখানা। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কেঁচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মত অবস্থা, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের খেলার মাঠ রয়েছে, তবে আমরা খেলতে পারিনা, এলাকার মানুষ এখানে ধান,ধানের খর শুকায়, আলুর সময় স্কুল মাঠ হয় আরদ।গত কয়েক দিন আগে আমরা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৭ জন মিলে খেলার জন্য মাঠে স্টাম্প পুতি, এমন সময় প্রধান শিক্ষক এর নির্দেশে সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুল স্কুলের ৭ জন শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে রুমের ভেতর ব্যাধরক মারপিট করেন( শিক্ষার্থীদের ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিক দের কাছে সংরক্ষিত)
এদিকে অস্টম শ্রেনীর কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের স্কুলে ঠিক মত ক্লাস হয়না। শিক্ষকের ইচ্ছে মত ক্লাস হয়। যদিও আমাদের প্রায় সময় শিক্ষক দের ডেকে এনে ক্লাস করাতে হয়।
এদিকে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আর অভিযোগ করেন, আমাদের গত ২ বছর হল স্কুলের টয়লেট সমস্যা। যা আছে সেগুলো শিক্ষকদের ব্যাবহারের টয়লেট। আমাদের ছেলে মেয়ে একি টয়লেটে যেতে হয়। আমরা প্রায় ছাএ ছাত্রী হয় বাড়িতে আর না হয় বাজারের মসজিদে টয়লেট করি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে বললে, তিনি সহ তার কয়েক জন সহকারী আমাদের খারাপ বাজে ভাবে গালি, ও মারমুখী আচরন করে। শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন শিক্ষক যদি এমন ব্যায়াদব হয় তাহলে আমাদের আদব /শিক্ষা কেমন হবে। এ সময় তারা কয়েকজন শিক্ষকের খারাপ আচরণের কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে প্রায় শতাধিক ছাএ ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন। (ভিডিও সংরক্ষিত) এ বিষয় নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজাবর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ছাএ ছাত্রী যা বলেছে সব সাজানো, আমি যে ভাবে তাদের দেখভাল করি অন্য কোন স্কুলের শিক্ষক এতটা করবেন না।আমি ২০১৩ সালে এ স্কুলে এসেছি আমি অনেক কিছু করেছি। কিন্তু স্কুলের আয়ের উৎস কেবল মাএ একটা পুকুর এর বেশি কিছু না থাকায় আমরা সমস্যার মধ্যে পড়েছি। এ কথার উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, একটি পুকুর তিনি নাম মাএ ১৩০০০ থেকে ২০০০০ টাকা স্কুলের আয় দেখান, বাকি টাকা যায় কোথায়, এ ছাড়া স্কুল মাঠ সংলগ্ন কিছু দোকান আছে যার মাসিক ভাড়া আদায় করেন ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, এসব টাকা যাচ্ছে কোথায়। এ বিষয়ে, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। ক্ষেতলাল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অনুপস্থিত থাকার কারনে, জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মো: রুহুল আমিন কে এ বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আপনারা বলেছেন আমি বিষয় টি সরজমিনে গিয়ে দেখব, সেই সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে অভয় দিয়েছেন সাংবাদিক মহল কে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page