ফাঁকা ঢাকা, নেই চিরচেনা যানজট
স্বপন প্রতিনিধি: স্টাফ রিপোর্টার সমগ্র বাংলাদেশ
১৮/০৬/২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আগেই বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ। এরপর গত বৃহস্পতিবার দিনের কর্ম দিবসের পর বন্ধ হয়েছে সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি অফিস। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে ইতোমধ্যে দেশের বাড়ির আবস্থান করছেন রাজধানীর অনেক বাসিন্দা।
এতে ব্যস্ত ঢাকার রাস্তাঘাট এখন ফাঁকা। নেই চিরচেনা যানজট। আগের মতো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা৷
শনিবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর বনানী, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, শেরেবাংলা-নগর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, শাহবাগ এবং কাকরাইলমোড়, পল্টন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ার কারণে গাড়ি চলছে কিছুটা ধীর গতিতে।
ঢাকা গাবতলী বাস স্ট্যান্ড ফাঁক, ধামরাইয়ের উদ্দেশ্যে ফুলবাড়িয়া বাস-স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসা ডি-লিংক পরিবহনের সহকারী জসিম উদ্দিন বলেন, যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষজন উঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকা সাভার পরিবহনের চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান আর বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পোহাতে হয়েছে। এছাড়া বাকি সব রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আর আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।
ঢাকার সড়কে গাড়ির চাপ কম থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। ধানমন্ডি সড়কের কাছে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। তবে আন্তঃজেলা বা স্বল্প দূরত্বে যেসব মিনিবাস চলাচল করত সেগুলো চলছে। ঈদের সময় স্বাভাবিকভাবেই ঢাকায় মানুষের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সড়ক অনেকটাই ফাঁকা থাকে। তবে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন