

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ সদর ও পৌর শাখা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শংকর ঋষি
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখা ও পৌর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট প্রণব কান্তি দাসের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির প্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক বিধান চন্দ্র দাস ও সংগঠনের মহিলা সম্পাদিকা রুপালী সোম পম্পার যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক বাবু বিমল বনিক।
সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয কমিটির সদস্য এড. মলয় চক্রবর্তী রাজ,জাতীয় পরিষদের সদস্য সব্রত বসু,বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টার্ন ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি এড. গৌরাঙ্গ পদ দাস,কলি তালুকদার আরতি,সুনামগঞ্জ জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রাধাপদ সূত্রধর,সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক বিপ্লব কান্তি তালুকদার,রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারন সম্পাদক বাবু চন্দন কুমার রায়, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিপ্রেশ কুমার রায় বাপ্পি,পৌর কমিটির সভাপতি প্রদপি চৌধুরী আচঁল,সাধারন সম্পাদক সন্তো রায় সন্তু,সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শশ্মান কমিটির সাধারন সম্পাদক অরুণ দে,মলি রায়,জবা ঘোষ,শিক্ষক প্রেমানন্দ দাস,বজ্রগোপাল বণিক,শংকর বণিক,অশোক গোস্বামী,মলয় দাস,টিটু দাস,প্রসেজিৎ নন্দী,রিংকু দাস,অজয় দে,সব্রত তালুকদার,চপল তালুকদার,রবীন্দ্র বণিক,বলাই এষ,বিধান দাস,লিটন দে,মণি কাঞ্চন দাস,কাজলী রানী দাস,সীমা দাস, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি জ্যোতিভূষন তালুকদার ঝন্টু,সাধারন সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা সহ হিন্দু কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পিরষদের সাধারন সম্পাদক বাবু বিমল বনিক বলেছেন,১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রতিটি ধর্মের মানুষ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এই দেশটি স্বাধীন করলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এই দেশে সংখ্যালঘুরা বার বার নির্যাতিত হয়ে আসছেন। বিগত কোন সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় কোন আইন পার্লামেন্টে পাশ করা হয়নি। প্রতিটি সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হলে ও এর সঠিক বিচায় দেশে হয়নি। তাই আগামীতে এই সরকার নিরপেক্ষ সরকার হিসেবে সংখ্যালঘুদের প্রত্যাশা বেশী দ্রæত একটি সংখ্যালঘু আইন প্রণয়ন করা,সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়সহ আমাদের সংখ্যালঘুদের ৮ দফা বাস্তাবনে সরকার পদক্ষেপ নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সকল সংখাৈলঘুদের বিভাজনের রাজনিিত না করে আমাদের দাবী আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে যৌক্তিক দাবী আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে সদর উপজেলায় সন্তোষ রায়কে নতুন সভাপতি ও সিদ্বার্থ এষকে সাধারন সম্পাদক এবং পৌর কমিটিতে প্রদীপ কুমার চৌধুরী আঁচল কে সভাপতি ও বিধান চন্দ্র দাসকে সাধারন সম্পাদক করে দুটি কমিটির নাম ঘোষনা করেন নেতৃবৃন্দরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই দুটি পূর্নাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোঘনা করা হবে। ##