বাউফলে
নির্যাতিত পুরুষের অভিযোগ শোনার কেউ নেই।
বরের নামঃ আবুল হাসান (৩১) পিতা - মোঃ মঈনউদ্দিন,
মাতা- মোসাঃ মনোয়ারা বেগম, গ্রাম - কারখানা, পোঃ কারখানা, উপজেলা - বাউফল, জেলা- পটুয়াখালী।
কণের নামঃ মোসাঃ লিজা আক্তার(২৭) পিতা - মোঃ ফোরকান রাড়ী, মাতা মোসাঃ জয়নব বিবি, গ্রাম - নারায়ণ পাশা, পোঃ আমিরাবাদ, উপজেলা - বাউফল, জেলা - পটুয়াখালী।
বিবাহের তারিখ -১০/১০/২০১৯ খ্রিঃ
24hrs tv তে প্রচারিত
পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন কারখানা গ্রামের এক মুসলিম পরিবারের সন্তান অভিযোগ করে বলেন।
আমার পিতা-মাতা বিবাহ করাইবার জন্য একজন উপযুক্ত কণে খোঁজ করিতেছেন। আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সংবাদ পান। ও আত্মীয়-স্বজন সহ উপস্থিত সাক্ষীদেরকে সাথে নিয়ে হাতের কানের ও গলায় মোট ২ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার সহ যাবতীয় সাজানী ও মূল্যবান কাপড় চোপড় ইত্যাদি দিয়ে আমার নিজ বাড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলিয়া নিয়া আসি। পরবর্তীতে বিবাহের স্বামীরালয় আসিয়া রীতিমত ঘর সংসার করিয়া সুখে শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন বটে। কিছুদিন যাওয়ার পর আমার স্ত্রীর গর্বে সন্তান আসে। ২ মাস পর ওষুধ খেয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। আমি আমার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে বলে গ্যাস্টিকের ব্যথা। আমি আমার প্রতিবেশীর কাছে ঔষধের পাতা নিয়ে দেখালে তারা বলে এই ওষুধ খেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। আমি সব সময়ই দেখতাম ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। লিজার আব্বু আম্মুর ও ভাই বোন তাদের কু - পরামর্শে ও সহযোগিতায় আমার পরিবারের কাছে কিছু না জানাইয়া কারণে-অকারণে লিজা তার বাপের বাড়িতে চলিয়া যান। ২ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার ও নগদ ৫০,০০০/- হাজার টাকা এবং আনুমানিক ২৫০০০/- হাজার
টাকার মূল্যবান কিছু শাড়ি সহ অন্যান্য জিনিস পত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায় লিজা। আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম আমার বসতবাড়ি থেকে এভাবে কেন চলে আসছো। এই কথা উচ্চারণের সাথে সাথে অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপমান অপদস্ত করেন বটে। এক পর্যায়ে মারিতে উদ্যত হয়। এমনই পরিস্থিতিতে আবুল হাসান শ্বশুরবাড়ি থেকে খালি হাতে নিজ বাসায় ফিরে আসেন। এমনই পরিস্থিতিতে কোর্টে মামলা করি। বাউফল বিজ্ঞ সহকারী জজ কোডে মামলাটি চলমান আছে।
লিজা আক্তার এর পিতা-মোঃ ফোরকান রাড়ীকে জিজ্ঞাসা করলে আপনার মেয়ে লিজা ওষুধ খেয়ে বাচ্চাটি কেন নষ্ট করছে এ কথাটি একেবারেই অস্বীকার করে।
কনে মোসাঃ লিজা আক্তার ক্যামেরার সামনে বক্তব্যের কথা বললে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন