বেলকুচিতে ভারতের সঙ্গে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এম. এ মান্নান পলক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশেপ্রণোদিতভাবে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে দেশে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বেলকুচিতে বিক্ষোভ ‘মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ হতে জুমা নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপজেলার প্রধান সড়ক হয়ে মুকুন্দগাতী যাত্রীছাউনিতে এসে শেষ করে।সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় পণ্য, বর্জন কর’ করতে হবে ‘ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার নদীর অধিকার, ফিরিয়ে দাও দিতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
ভারতীয় আগ্রাসনে কোন প্রকার সতর্কবানী না দিয়ে মাঝ রাতে ভারতের ডুম্বুর বাঁদ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে আকস্মিক ব্ন্যা সৃষ্টি করায় বেলকুচি উপজেলার ছাত্র-জনতা ও মুসল্লিগণ জুমার নামাজ শেষে রাজপথে নেমে আসে। ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ভারতীয় সকল প্রকার পন্য বয়কটের ঘোষণা দেন ভিক্ষোবকারীরা।
এসময় বেলকুচি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুসা হাসেমী প্রধান উপদেষ্টাকে আহবান জানান তাদের (ভারতের) কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন।এছাড়া তিনি আরো ববেল কেউ যদি আমাদের ভুখন্ডের দিকে শকুনের চোখে তাকায় তাহলে তার চোখ তুলে ফেলব এবং সেভেন সিষ্টারের নিরাপত্তা থাকবেনা।
মুকুন্দগাতী বাজার মসজিদের সাবেক ইমাম হাফেজ মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন ভারত আমাদের উপর জুলুম করছে আমরা জুলুম কারী হিসেবে আরেকবার ভারতে সাথে যু্দ্ধ করব।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক ইকবাল এইচ রিপন, মুছাব্বির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন ওবায়দুল ইসলাম, মনিরুজ্জামানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন