রংপুর থেকে মো: মফিদুল ইসলাম সরকার;
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নগরীর মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে আদালতের আদেশে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম আরিফ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এসআই খালিদ উদ্দিনসহ পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য ও নিহত সাজ্জাদের পরিবারের সদস্যরা। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এ টি এম আরিফ জানান, সাজ্জাদ হোসেন নিহতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নাঈমুল ইসলাম খান চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী, পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরীসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন স্ত্রী জিতু বেগম।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৯ জুলাই রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের’ গুলিতে গুরুতর আহত হন সাজ্জাদ। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করে তার পরিবার।
লাশ উত্তোলনের সময় নিহতের মা ময়না বেগম হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন