ব্রাহ্মণপাড়ায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
মোশাররফ হোসেন নিলয়।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন পৌষ মাস, এ সময়টাতে রোপা আমন ধান কর্তন শুরু হয়। ব্রাহ্মণপাড়াও ধান কাঁটা শুরু হয়েছে। এ বছর
উপজেলায় চলতি রোপা আমন ধান এর মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি পাত ও জমিতে পোকামাকড় এর আক্রমণ তেমনটা না থাকায় এ মৌসুমে এযাবতকালের সেরা ফলন হয়েছে। এছাড়া এই বছর বন্যা পরবর্তী সময়ে জমিতে প্রচুর পরিমাণে পলি থাকায় ফলেনের বাম্পার ঘটেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক মোঃ শাজাহানের সাথে। তিনি বলেন এ বছর আমি প্রায় ৮১ শতাংশ জায়গায় রোপা আমন ধান বপন করেছি। আজ (১৮) ডিসেম্বর এই ২১ শতকে জায়গার ধান কাটতেছি।ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি বলেন এই ২১ শতক জায়গায় আমি প্রায় ১০ থেকে ১২ মণ ধান পাবো। তিনি আরো বলেন আমার এই ২১ শতক জায়গায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। আমি খড় বিক্রি করতে পারবো ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর বাকি ধানগুলো তো আমার লাভ এর মধ্যে রয়েছে।
চান্দলা গ্রামের কৃষক অবিদ মিয়া বলেন আমি এ বছর এক কানি (৬০শতক) জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। চাষাবাদ এবং ধান কাটাসহ সবকিছু নিজেরাই করেছি। চাষাবাদে যত টাকা খরচ হয়েছে তার কয়েক গুণ বেশি টাকার ধান বিক্রি করতে পারব। এ বছর বন্যা পরবর্তীতে পলি পড়ায় জমিতে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে ধানের বেশি হওয়ায় বন্যার সময় যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে পারবো।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, এ বছর গোমতী ও সালদানদী ভাঙা পড়ে ভয়াবহ বন্যা হয়ে কিছুটা আমন ধানের লক্ষ মাত্র ব্যহত হয়েছে। তবে বন্যার কারণে এ বছর জমি উর্বরতা হওয়ায় সার ও কীটনাশক কম লেগেছে এবং জমি ধান ও ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণপাড়া ১০ শতাংশ আমনের জমির ধান কর্তন হয়েছে।