

মাদক সেবীধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলেন কোটচাঁদপুর মডেল থানার এএসআই তৌফিক হোসেন।
ঝিনাইদহ জেলা থেকে স্টাফ রিপোর্টার অয়ন ইসলাম জানায়:
কোটচাঁদপুর মডেল থানার সহউপপরিদর্শক (এএসআই) তৌফিকের বিরুদ্ধে মাদক সেবীদের ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে । তার উর্ধতন কর্মকর্তা বিষয় টি জানার পরেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন,ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি জেনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বললেন থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল- মামুন। এই ঘটনার দফারফা করেছেন ওখানকার জালাল নামের এক ভাংড়ি ব্যাবসায়ী। তিনি ভাংড়ি ব্যাবসার আড়ালে গড়ে তুলেছেন জমজমাট সুদে কারবার। ওখানে প্রতিনিয়ত চলে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের আসর।
জানা যায়,গেল ৭ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা রাতে কোটচাঁদপুর ঝষি পাড়া থেকে গাঁজা কেনার সময় হাতে-নাতে ধরেন তিন জন মাদক সেবীকে। এরা হলেন,আরিফ হোসেন, রিপন হোসেন,ও,আলামিন হোসেন। তাদের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে। ওই তিন জনকে আটকের পর সারারাত তাদেরকে থানা হাজতে রাখেন ওই কর্মকর্তা।
পরের দিন রবিবার সকালে ছেড়ে দেন আলামিন ও রিপন হোসেনকে। আর আদালতে পাঠান আরিফ হোসেন কে। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ ও প্রকাশিত হয় তৌফিকের বিরুদ্ধে। এরপরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি থানায়।
এরপর গেল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর বেলা কোটচাঁদপুরের বলুহর সড়কের পুরাতন পশু হাটের ময়লাপোতা নামকস্থান থেকে মাদক সেবী আতিয়ার রহমান ফকির ও আমির হোসেনকে আটক করেন থানার এএসআই তৌফিক হোসেন।
এরপর তাদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি কোটচাঁদপুর থানায় যোগদানের পর থেকে বেশ কিছু মটর সাইকেল আরোহী কাগজ পত্র পরিক্ষা নিরিক্ষার কথা বলে টাকা নেন। এরপর তাদের মটর সাইকেল ছেড়ে দেন বলে জানা গেছে।
তবে ওই সব ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোন সম্পৃত্ততা নাই বলে দাবি করেছেন তিনি। এএসআই তৌফিক বলেন,আমি কোন মাদক সেবী আটক করি নাই। এ ছাড়া কারোর কাছ থেকে টাকা নেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল- মামুন বলেন,ঘটনাটি শুনেছি। অন্য মাধ্যম দিয়ে তৌফিক তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।