মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালের সংবাদ প্রকাশে চড়ে উঠলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ।
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি জেনিভা প্রিয়ানা
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্থাস্থ্য কম্পেক্সে দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ, বাস্ক বন্ধি এক্সেরে মেশিং, জনবল সংকটে আল্টাস্নোগ্রাফি ডাক্তার সংকট সহ নানাবিধ সমস্যা নিয়ে জনস্বার্থে একাধীক প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন স্থাস্থ্যও প: প: কর্মকর্তা ডা: মুজাহিদুল ইসলাম। বিদ্যমান সমস্যা গুলোর সমাধাণ না খুজে সাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় উল্টো মিথ্যা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিনিধি গনেশ পাল, দৈনিক ভোরের দর্পন প্রতিনিধি শামীম আহসান মল্লিক, দৈনিক ইকিলাব প্রতিনিধি মেজবা ফাহাদ ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল প্রতিনিধি এম পশাল শরীফের বিরেুদ্ধে পৃথক পৃথক ভাবে দিয়েছেন লিগ্যাল নোটিশ।
বাগেরহাট বিজ্ঞ জজ আদালতের সিনিয়র এ্যাডভোকেট মুস্তাইন বিল্লাহ স্বাক্ষরিত গত ২১ এপ্রিল প্রাপ্ত এক লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে বলা হয়েছে । উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মুজাহিদুল ইসলাম এবং হাসপাতালের প্রধান সহকারী মাতুব্বর মো: রেজোয়ান হোসেনের নিকট সাংবাদিকতার অজুহাতে তাদের নিকট ২লক্ষ টাকা চঁাদা দাবি করা হয়েছে। তারা টাকা না দেওয়ার কারনে গত ৬ এপ্রিল/২৫ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় অসত্য সংবাদ প্রকাশিত করেছেন। অথচ ওই তারিখে হাসপাতাল সংক্রান্ত কোন সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
এ লিগ্যাল নোটিশে ৩ দিনের মাথায় উক্ত স্থাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা: মুজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বারক নং- উস্বাক/মোরেল/বাগের/২০২৫/১৯৫, তরিখ-২৩/৪/২০২৫ ইং প্রেসক্লাব সভাপতি বরাবরে ডআরোএকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, উপজেলা স্থাস্থ্য কমম্পেক্সে কেন্দ্র করে ইদানিং কতিপয় সাংবাদিক অসত্য,বিভ্রান্তিকর উস্কানি মূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এ কারনে উপজেলা স্থাস্থ্য কম্পেক্সের সুনাম ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
এদিকে স্থস্থ্য কর্মকর্তা এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান ও প্রেসক্লাবে চিঠি প্রেরন করায় যা যথারিতি গনমাধ্যম কর্মীদেরকে হতভাগ করেছে। সংবাদ পত্রের বাক স্বাধীনতা হরন করা ও নগ্ন হস্তক্ষেপর সামিল। স্বাধীণ মত প্রকাশের বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের একজন দ্বায়িত্ব শীল কর্মকর্তার কতটুকু সমিচীন হয়েছে তা নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে নানা মুখি প্রশ্নের।
৫০ শয্যা এ হাসপাতালটি এ উপজেলার প্রায় ৪লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করনে অপারেশন থিয়েটারে সাড়ে তিন বছর ধরে সকল প্রকার অপাশেন কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। নতুন এক্সেরে মেশিংটি সরকারের অনেক টাকা অর্থ ব্যায়ে বরাদ্ধের পর এখনও রয়েছে বাস্ক বন্ধি অবস্থায়। আল্টাস্নোগ্রাম হচ্ছেনা সদ্য মাত্র ব্যবহৃত পানি সরবরাহের মটারটি মেরামত করে পানি সাফলাইয়ের ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বৃদ্ধমান সমস্যগুলো এখনো দৃষ্যমান রয়েছে।
এ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মাহাবুবুল আলম বলেন, মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের সমস্য গুলো দীর্ঘদিনের, সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে সাংবাদিকদের লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে তিনি অবহিত নয়। সরকারি চাকুরি জীবিদের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রীয়ায় উর্ধতন কতর্ৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা আমার ভাল জানা নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন