

মো আরিফুল ইসলাম ইরান পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি। শেখ হাসিনা নাই..কিন্তু শেখ হাসিনার দোসরা এখনো বাংলাদেশের মাটিতেই আছে। তারা আবারও ২০২৪ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিজয়কে ছিনতাই করতে চায়৷
পঞ্চগড়ে.. মামুনুল হক
সারা দেশে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খেলাফত মজলিস পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসিসের মহাসচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি..আল্লামা মামুনুল হক বলেন…. ২০০১ সালে যে ভাবে আমাদের বিজয়কে ছিনতাই করেছিল সেভাবে ২০২৪ সালে সেই ষড়যন্ত্রকারী শক্তি ইসলামবিরোধী শক্তি, বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য বিরোধী শক্তি তারা কিন্তু বসে নেই। শেখ হাসিনা নেই,কিন্তু শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বাংলাদেশের মাটিতে আছে। তারা আবারও ২৪ আগষ্টের বিজয়কে ছিন্তাই করতে চায়। তাদেন রুখতে. সজাগ থাকতে হবে, পাহারাদারি করতে হবে, ছাত্র-জনতাকে রাজপথে থাকতে হবে ২০২৪ বিজয়ের আগষ্টকে কেও ছিনতাই করতে চাইলে আমরা রুখে দাড়াবো। রবিবার সকালে খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার উদ্দ্যোগে পঞ্চগড় স্টেডিয়াম মাঠে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন.. শেখ হাসিনার রাজনীতির মুল দর্শন ছিলো দুটি,প্রতিশোধের রাজনীতি। ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ যে বাগশালের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছি মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও বেশি যুবকের প্রাণহানি হয়েছে ৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার মায়ের সন্তানের প্রাণহানি করেছিল পায়খানাদার বাহিনীরা। আর আর ৭১ থেকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমার ৩০ হাজার মায়ের বুক এবং কোল খালি করেছিল বাকশালীরা। এই বাগশাল ছিলো শেখ হাসিনার বাপের বাগশল। সেই বাকশালের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদেই সংঘটিত হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এর অভ্যুত্থান।
এসময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রী খেলাফতের নেতা আল্লামা জালাল উদ্দিন,এনামুল হক মুসা, জেলা খেলাফতের সভাপতি মীর মোরশেদ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।
গণসমাবেশে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ অংশ নেয়।