

যশোরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত।
সাব্বির হাসান স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের সাথে দেশ বিরোধী চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিদ্দিস অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
যশোরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল হালিম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন।
ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল হালিম সাহেব তার বক্তব্যে বলেন, “দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, ভাদের দেশে এনে বিচার করতে হবে। দুর্নীতির সব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে দেশের জনগণ একদিন এর বিচার করবে।”
শিক্ষা সিলেবাস ও পাঠপুস্তক নিয়ে অনেক কথা আমরা বারংবার বলেছি।
জাতিকে নির্লজ্জ, অদক্ষ ও ভুল ইতিহাসে দীক্ষিত করার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, শিক্ষা সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তকে তা শিউরে ওঠার মতো।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অথচ সবাই জানি, এর পেছনে প্রধান কারণ সরকার দলীয়দের সিন্ডিকেট।
সরকার ভার মাস্তান বাহিনী পোষার জন্য সিন্ডিকেট রক্ষা করে জনতার রক্ত চুষে নিচ্ছে।
ব্যাংক খাত, আর্থিক খাত ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যে ছলচাতুরী করে যাচ্ছে, তা বলার ভাষা আমাদের নাই।
প্রধান অতিথি মাওলানা শোয়াইব হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, “দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা। একটা ডিমের দাম ১৫ টাকা। আলুর কেজি ৭০ টাকা। আজকে দেশ কোথায় গেছে? প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
আজকে দেশকে শেষ করে দিচ্ছে দুর্নীতিবাজরা।
মাত্র ৮-১০ মানুষ ব্যাংকগুলোকে লুটে সব টাকা নিয়ে গেছে। এটা সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরাও জানে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট বাংলাদেশে হতে দেব না, বুকের রক্ত দিলেও এটি বাতিল করব।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা, সহ-সভাপতি
মাওলানা আব্দুল হালিম, সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রশিদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল বাশার, প্রচার-দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি কামরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মুফতি মঈন উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান তাজু, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী সহিদুল ইসলাম, পৌর শাখা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিম, সদর থানা সভাপতি আখতারুজ্জামান, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোের জেলা সভাপতি ইমরান হোসাইন, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।