রইচপুরের কাঠের সেতু ভেঙে পড়ল খালে, দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার:
মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন সাতক্ষীরা।।
সাতক্ষীরা সদর রইচপুর খাল ওপরে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঠের সেতু ভেঙে গেছে। এতে ০৬ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কাঠের সেতু ভেঙে পড়েছে ১০ জুলাই রইচপুর খালের উপর সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। ফলে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারপর থেকে ছয় গ্রামের মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে রাইচপুর খালের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। ০২/ জানুয়ারি ২০২২ সালে। ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
গ্রামবাসী জানায়, রইচপুর, খানপুর, নাথুয়াডাঙ্গা , ঝিটকি, ঘোনা , কুলপোতা ছয় গ্রামের শত শত মানুষ এ খালের ওপর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।
ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করত শত শত মানুষ।
রইচপুর গ্রামের সালমা খাতুন বলেন, ছয় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিকল্প কাঠের তৈরি সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ
গত ১০ জুলাই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এলাকার সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খানপুর গ্রামের আবু জাফর বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সল্যুশন ডিজানের মাহবুবর হোসেনে পক্ষ থেকে সেতুটি আর মেরামত করা হয়নি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছয় গ্রামের মানুষ।
পথচারীরা বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সল্যুশন ডিজানের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো টি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গত ৫ দিন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে রইচপুর শিশু কিশোররা এ সাঁকোতে পারাপার হতে পারে না। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বাঁশের সাঁকো নির্মাণের দাবি তুলে আসছে গ্রামবাসী।
সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিল শেখ জাহাঙ্গীর কালু জানান, পৌরসভার শেষ সীমানা হলো রইচপুর। তাছাড়া ব্যস্ততম সড়ক এটি। আশপাশে তিন-চারটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করে ইটাগাছা-ঘোনা সড়ক দিয়ে। এসব ইউনিয়নের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সবজি বা বিভিন্ন প্রকার মাছ জেলা শহরে নিয়ে যাওয়া হয় রইচপুর বাঁশের সাঁকো পার হয়ে। অথচ তৈরি করা বাঁশের সাঁকো টি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গত ৫ দিন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কাজের অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।
বাঁশের সাঁকো নির্মাণ জরুরি। এখানে বাঁশের সাঁকো হলে ছয় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। উন্নয়নে যোগ হবে নতুন মাত্রা। এ জন্য তিনি জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের দাবি জানান।##
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন