জুয়েল মিয়া
রিপোর্টার 24Hrs tv
শরীয়তপুরের জাজিরা দুই বংশগত অমিলের কারণে একই স্থানে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত আদায় করেছেন মুসল্লিরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন ) ঈদের দিন সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পালেরচর ইউনিয়নের
দড়িকান্দি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলাদা দুইটি প্যান্ডেল তেরি করে ঈদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে মুসল্লিদের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের হাওলাদার ও দড়ি বংশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বংশগত দ্বন্ধ রয়েছে। এই দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে ঈদুল আজহার আগে থেকেই দুই গ্রুপের লোকজন বিভক্ত হয়ে নামাজ পড়ার পরিকল্পনা করেন। পরে দুই বংশের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে দুই স্থানে নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু হাওলাদার ও দড়ি দুই বংশের লোকজনই দড়িকান্দি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে আলাদা প্যান্ডেল করেন নামাজ পড়ার জন্য। এরপর আজ পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত দুই বংশের লোকজন বিভক্ত হয়ে দুই প্যান্ডেলে আলাদা হয়ে আদায় করেন ঈদের নামাজ এদের মধ্যে হাওলাদার বংশ সকাল সাড়ে ৬ টায় ও দড়ি বংশ সকাল ৭ টায় নামাজ আদায় করেছেন। দুই পক্ষ আলাদা ভাবে নামাজ পড়লেও একে অপরের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।
মাহমুদুল হাসান নামে একজন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘এক মাঠে পৃথক দুটি ঈদ জামাত। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এই অপকর্মের মূল হোতা বা কুটিলও দুইদিন আগে ফেস্টুন বানিয়েছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সবার প্রাণ! আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে ইবলিশও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন।’
নওয়াব আব্দুর রহিম নামে একজন মন্তব্য করেছেন ‘মুসলমানের ঐক্য কত জরুরি বিষয়! সবাই এক উম্মাহ, সবাই ভাই ভাই, সবাই মিলে একটা শরীর! অথচ যত পারে ভাঙনের সুর বাঁধে এরা!’
একই মাঠে আলাদা প্যান্ডেল করে ঈদের নামাজ পড়ার বিষয়ে দড়ি বংশের মতিউর রহমান দড়ি বলেন, গত রমাজনের ঈদ থেকেই হাওলাদাররা চেয়েছিল আলাদা ভাবে নামাজ পড়তে। কিন্তু ওই সময় সমজোতা করে আমরা এক সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছিলাম। কিন্তু এবার আর তারা তা চাননি, ফলে আলাদা প্যান্ডেলে নামাজ আদায় করা হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
হাওলাদার বংশের শাহজাহান হাওলাদার বলেন, গ্রামে দড়ি ও হাওলাদার বংশের মধ্যে দ্বন্ধ দীর্ঘদিনের। এতদিন আমরা এক সঙ্গেই ঈদের নামাজ আদায় করতাম। তবে এবছর তা আর সম্ভব হয়নি। দড়ি বংশের লোকজন আমাদের বলেছিল, তাদের সঙ্গে নামাজ পড়তে। কিন্তু আমাদের লোকজন না মানার ফলে ভিন্ন প্যান্ডেলে নামাজ আদায় করেছি। দড়ি বংশের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জাজিরার সকল স্থানে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। দড়ি কান্দির বিষয়টি আমি কিছুই জানি না আপনার কাছে শুনলাম
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন