শরীয়তপুরে কিসের জোরে বদলির ৩ মাস না যেতেই আবার সাবেক কর্মস্থলে ফিরছেন হিসাব রক্ষক বজলুর রশিদ
জুয়েল মিয়া
বাংলাদেশ রিপোর্টার
তিন মাস আগে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিসাব রক্ষক বজলুর রশিদকে বদলি করা হয় মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির ৩ মাস যেতে না যেতেই আবার তাকে শরীয়তপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে হিসাব রক্ষক পদে বদলির আদেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) ডা. মুহাম্মদ রেজাউল হক এ বদলির আদেশ দেন এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছিল। বজলু্র রশিদকে পুনরায় সদর হাসপাতালে বদলি করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে বজলুর রশিদ দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় বজলুর রশিদ সদর হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহের কাজ ও ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সবই ছিলো তার সিন্ডিকেটে করেছেন নামে বেনামে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানা অভিযোগ একাধিক অভিযোগ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার
আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময়ে এমপি ইকবাল হোসেন অপুর নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো সদর হাসপাতালের একক নিয়ন্ত্রণে ছিলো বজলুর দখলে যা এতদিন মুখ খুলতে সাহস করেনি কেউ
৫ আগস্টের পর থেকে
শেখ হাসিনার পতনের পর নানান সমালোচনার মুখে গত ৯ সেপ্টেম্বর বজলুর রশিদকে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয় এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিলেও তিন মাসের মধ্যে আবারও সাবেক কর্মস্থলে বদলির আদেশ নিয়ে হাজির হন গত ১৫ ডিসেম্বর রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) ডা: মুহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত একপত্রে জানানো হয় ফের শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালে বদলী হয়েছেন বজলু এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে
এব্যাপারে স্থানীয় জনগণ অনেকেই বলেন সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই পরিচয়ে বজলুর রশিদ পুরো শরীয়তপুর সদর হাসপাতালকে নিয়ন্ত্রণ করতো সে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো পাশাপাশি হাসপাতালের ঔষধ সরবরাহের এক ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে তাকেই বারবার কাজ পাইয়ে দিতো। এছাড়াও নামে বেনামে শরীয়তপুর শহরের কয়েকটি ক্লিনিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এমনকি তার বিরুদ্ধে হাসপাতালে সার্টিফিকেট বানিজ্যের কথাও শোনা গেছে বদলীর তিন মাস না যেতেই কিভাবে সে ফিরে আসে
হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন এত বছর হাসপাতালে বজলুর বাইরে কথা বলার সুযোগ ছিলো না সে বদলীয় হওয়ায় আমরা কিছু স্বস্তি পেলেও আবার সে ফিরছে তার খুটির জোর কোথায় তার চাচাতো ভাই সাবেক এমপি অপু পলাতক থাকলেও বজলু আবারও বহাল তবিয়তে ফিরছে
এবিষয় জানতে চাইলে বজলুর রশিদ বলেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অনেকে অনেক কথা বলছে এ নিয়ে কিছু বলার নেই
এবিষয় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: হাবিবুর রহমান জানান নিয়োগ বা বদলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করে থাকে এসব আমার হাতে নেই