শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে
মাহমুদুর রহমান জুয়েল
স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর জেলা সদর পুলিশ বক্স সংলগ্ন ধানুকা এলাকার ওহাব আলী মোল্লার বাড়িতে
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ২ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে এঘটনায় রবিবার সকালে
৭ জনের নাম উল্লেখসহ ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন ওহাব বেপারীর ছেলে খোকন বেপারী
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ শরীয়তপুর জেলা শহরের পুলিশবক্স সংলগ্ন ধানুকা এলাকার খোকন মোল্লার সঙ্গে একই এলাকার মৃত আছালদ্দিন বেপারীর ছেলে ইয়াছিন বেপারী ও তার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিলো। তাই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইয়াছিন বেপারী ও তার বাড়ির লোকজন খোকন মোল্লা ও তার বাড়ির লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে আসছিল। তারই এই সমস্যা মিমাংসার জন্য শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে খোকন মোল্লা বসত বাড়ীতে দরবার শালিস বসলে প্রতিপক্ষরা তা অমান্য করে চলে যায়। পরে ওই রাতে আনুমানিক ২টার দিকে
একই এলাকার মৃত পোলেন বেপারীর ছেলে আলম বেপারী ও মৃত আছালদ্দিন বেপারীর ছেলে ইয়াছিন বেপারীর নেতৃত্বে কামাল বেপারী, জয়নাল বেপারী, ইউনুস বেপারী, বিল্লাল বেপারী, জলিল বেপারী সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে খোকন মোল্লাকে ব্যাপক মারধর করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার বোন আলেয়াও হামলার শিকার হয়। এসময় হামলাকারী ঘরের মধ্যে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র, একটি স্ট্রীলের আলমিরা, একটি স্ট্রীলের শোকেইস ভাংচুর করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। স্ট্রীলের আলমিরা রাখা নগদ ২ লাখ টাকা, ১১ লাখ টাকা মূল্যের ৭ ভরি ১০ আনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা খোকন মোল্লা ও তার বোনকে
গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে,
এঘটনায় রবিবার সকালে ৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত ৫/৬ জন উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেছেন ওহাব বেপারীর ছেলে খোকন বেপারী।
এ ঘটনায় আহত খোকন মোল্লা বলেন, ইয়াছিন বেপারী গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। সে বিষয়ে শনিবার সালিশ ডেকে, তা অমান্য করে চলে যায়। পরে ওই রাতেই আনুমানিক ২টার দিকে আলম বেপারী ও ইয়াছিন বেপারীর নেতৃত্বে ১২/১৩ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আমার বাড়ীতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে আমি ও আমার বোন গুরুতর হই। এসময় হামলাকারীরা
আলমিরা, একটি স্ট্রীলের শোকেইস ভাংচুর করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। স্ট্রীলের আলমিরা রাখা নগদ ২ লাখ টাকা, ১১ লাখ টাকা মূল্যের ৭ ভরি ১০ আনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। আমি রবিবার সকালে ৭ জনের নাম ও অজ্ঞাত ৫/৬ জন উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইয়াছিন বেপারী বলেন, আমরা কোনো প্রকার হামলার সঙ্গে জড়িত না। এসব ঘটনা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। খোকন মোল্লারা গায়ে পড়ে আমাদের ক্ষতি করতে আসে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন