বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
Headline
কামরাব বাজারে গরু হাটের ইজারা নিলেও স্কুল মাঠে গরুর বাজার দেখার কেউ নাই! আইন ও সাংবাদিকতা—দশক ধরে দুই পথেই দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন অ্যাড তাপস চন্দ্র সরকার কুমিল্লা বুড়িচং প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ধর্ম বর্ণ ভিন্ন মত সবার জন্য খেলাফত হয়তো খেলাফত নয়তো শাহাদাত বাউফলে কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্টনার ফিল্ড স্কুল সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা চান্দিনায় স্কুল মাঠ থেকে গরু হাট সরাতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বিশৃঙ্খলা শিবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আপন বড়ো ভাইকে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম গোপালগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ। মোল্লাহাটে মধুমতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানবিক সহায়তা সামগ্রী বিতরণ। বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ঐক্য ফোরামের রিয়াদুল ইসলাম জামাল আজীবন বহিষ্কার –
Headline
Wellcome to our website...
শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার, সেই পথে এগিয়ে চলেছেন তারেক রহমান*
/ ১৩ Time View
Update : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৩:২৩ পূর্বাহ্ন

*শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার, সেই পথে এগিয়ে চলেছেন তারেক রহমান*

গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক স্বপন
———————————————————-
বাংলাদেশের ইতিহাসে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি অনন্য নাম। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, বরং একটি আধুনিক, স্বনির্ভর ও উৎপাদনমুখী বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার স্বপ্ন ছিল একটি শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠন, যেখানে জনগণের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আজ এগিয়ে চলেছেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

*শহীদ জিয়ার আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন*

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নানা সংকটে জর্জরিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান দেশের উন্নয়নের জন্য একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাঁর নেতৃত্বে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বৃদ্ধি পায় এবং বিরোধী দলগুলোর অধিকার নিশ্চিত হয়। এছাড়া, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য তিনি “খাল কাটা” কর্মসূচি চালু করেন, যা সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটায়। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি গ্রামের অর্থনীতি সচল করেন ।
শহীদ জিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে চেয়েছিলেন। তিনি চীন, জাপান এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করেন। দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য তিনি সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (SAARC) গঠনের উদ্যোগ নেন, যা আঞ্চলিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

*তারেক রহমান : পিতার স্বপ্নের উত্তরাধিকার*

তারেক রহমান, শহীদ জিয়ার সুযোগ্য পুত্র, তার পিতার আদর্শ ও স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি তৃণমূল রাজনীতির আইকন হিসেবে পরিচিত, যিনি রাজনীতিকে রাজধানীর সীমাবদ্ধতা থেকে বের করে দেশের প্রতিটি প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এই বিশ্বাস থেকে তিনি গ্রামীণ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন ।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন, যা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই রূপরেখায় দুর্নীতি দমন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

*আধুনিক বাংলাদেশের পথে তারেক রহমানের অবদান*

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি তরুণদের সম্পৃক্ত করে একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং কৃষি ও শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তারেক রহমানের পরিকল্পনায় রয়েছে:

– *শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:* কারিগরি ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রসার।
– *উদ্যোক্তা উন্নয়ন:* তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়তা ও প্রশিক্ষণ।
– *কৃষি ও শিল্পায়ন:* আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শিল্প খাতের উন্নয়ন।
– *সুশাসন ও জবাবদিহিতা:* প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
– *তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার:*

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, যার মূল লক্ষ্য:

– *গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা:* নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

– *ক্ষমতার ভারসাম্য:* নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার সুষম বণ্টন।

– *দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ:* জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উচ্চকক্ষ প্রবর্তন।

– *প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমাবদ্ধতা:* পরপর দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।

– *অর্থনৈতিক উন্নয়ন:* কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যুগোপযোগী সংস্কার।

– *নারীর ক্ষমতায়ন:* নারীদের সম্মান, স্বাধীনতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

*জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্ব:*

তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি সুশাসিত রাষ্ট্র গড়া সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না।”

তারেক রহমানের এই উদ্যোগগুলো শহীদ জিয়ার স্বপ্নেরই আধুনিক রূপ। তিনি পিতার আদর্শকে ধারণ করে একটি উন্নত, স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি আধুনিক, স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়া। তারেক রহমান সেই স্বপ্নের উত্তরাধিকারী হিসেবে পিতার আদর্শ ও দর্শনকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি একটি আধুনিক, স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। এই পথচলায় তারেক রহমানের অবদান জাতির জন্য অনন্য ও অনুকরণীয়।

লেখক
সাবেক ছাত্রনেতা ও
সাধারণ সম্পাদক
চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্ট ক্লাব ঢাকা।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page