সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রি টিপু মুন্সিকে নিয়ে ফেইসবুকে সমালোচনার ঝড়
মো: মফিদুল ইসলাম সরকার .রংপুর:
রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাবেক এমপি এবং বাণিজ্য মন্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি মামলা হওয়ার পর থেকে তাকে নিয়ে বিবিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হচ্ছে। দলীয় কিংবা সাধারণ কোন ছেলের চাকুরীর জন্য সুপারিশ নিতে গেলে সবসময় তিনি বলতে নিয়ম মেনে করার জন্য সুপারিশ করছি? ডধযরফ ঝযধফযরহ) নামের একটি ফেইসবুক আইডিতে পোষ্ট করা হয়েছে আমাদেও টিপু মুন্সি (এমপি) জনগণের আবেদনে সুপারিশ করতেন ,“নিয়ম মেনে করার সুপারিশ করছি।” এখন দুদকের অনুসন্ধানের তার নাম। উনি কতটা নিয়ম মেনে চলতেন .. দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। এই পোষ্টটি দেওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে দেখা যায় ৪৮ জন লাইক করেছেন এছাড়া ৮ জন কমেন্ট করেছেন। ঝযড়যধম ংযড়যধম বলেছেন, আমাদেও কখনো ছিল ছিল না— আমার বাবা বেঁচে থাকলে খুব ভালো লাগতো আজকের ওনার এ-ই অবস্থা দেখার জন্য। গধংযঁফঁষ ঐধয়ঁব গধংযঁফ লেখেছেন র্নিবাচনী হলফ নামা অনুসারে আমাদের এমপি সাহেবের সম্পদ বেড়েছে ২১৩১ শতাংশ…..!!! শেষের অংশ দেখার অপেক্ষায় আমজনতা—–। গফ ঝযরসঁ লেখেছেন পাপ করলে প্রাচিত্য ভোগ করতে হবে অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একজন আইনজীবী দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। রোববার আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন।
জানাগেছে দুদক থেকে আইনজীবীর তালিকায় থাকা ৪১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদ সদস্য প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য দিয়ে আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আইনজীবী দুদকে মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের নাম উল্লেখ করে অনুসন্ধানের আবেদন জানান।

অনুসন্ধানের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-–২০), সরওয়ার জাহান (কুষ্টিয়া-–১), শরিফুল ইসলাম জিন্না (বগুড়া–-২), শহিদুল ইসলাম বকুল (নাটোর–-১), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর–-১), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ–-৩), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর–-৩), এনামুল হক (রাজশাহী–-৪), মামুনুর রশীদ কিরন (নোয়াখালী-–৩), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি), মহিববুর রহমান (পটুয়াখালী–-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-–৫), কাজিম উদ্দিন আহম্মদ (ময়মনসিংহ-–১১), স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর–-৫), আনোয়ার হোসেন (পিরোজপুর–-২), নূর–ই আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-–১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট–-২), শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট–-১), এনামুল হক (রাজশাহী–-৪), কামরুল ইসলাম (ঢাকা–-২), হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া–-২), জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-–২) ও শাজাহান খান (মাদারীপুর–-২)।
টিপু-মুন্সি এমপি নির্বাচনের সময় ওয়াদা দিয়েছিল তিনি নির্বাচিত হইলে এলায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন নাই। এই বিষয়টি নিয়ে দলীয় এবং নির্দলীয় সবার মাঝে একটি ক্ষোভ ছিল । বিভিন্ন মিডিয়া টিপু মুন্সির বিরুদ্ধে দদক অনুসন্ধান করবেন এমন কথা প্রচার হওয়া পর থেকেই অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আবার চায়ের দোকানে তাকে নিয়ে ব্যাপক ভাবে সমালোচনা করছেন। দলীয় পদধারীর মধ্যে অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন টিপু মুন্সি আমাদের এলাকার বেকার যুবকদের জন্য তেমন কোন কাজেই করেন নাই।