স্লোগানে স্লোগানে সাতক্ষীরার রাজপথ প্রকম্পিত করলো ছাত্র-জনতা।
মো: আবু বক্কর ,সাতক্ষীরা জেলা থেকে :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণভাবে সফল হলো গণমিছিল
কর্মসূচিকে ঘিরে ৩ আগস্ট শনিবার সকাল 11 টা থেকে শহরের নারিকেলতলা মোড়ে। জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অভিভাবক ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
সেখানে তারা প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে নিহত শহীদ ছাত্রদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মিলিত দোয়া ও মোনাজাত করেন। এছাড়া হিন্দু ধর্মের শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন।
এসময় আশ-পাশের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক, সাধারণ জনতা, সাতক্ষীরার বেশ কিছু আইনজীবী,সাংবাদিক, অভিভাবক ও অন্যান্য পেশার মানুষ তাদের সাথে স্বতস্ফুর্ত সংহতি প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণ পর তারা জড়ো হয়ে গণমিছিল শুরু করে। মিছিলে তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছিল।
স্লোগান ছিল এরকম, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত। এই রক্তের বন্যায়,ভেসে যাবে অন্যায়। আমার ভাই মরলো কেন? খুনি হাসিনা জবাব দে। ছাত্রদের বুকে গুলি কেন? খুনি হাসিনা জবাব দে। এক দুই তিন চার শেখ হাসিনা তুই গদি ছাড়! আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম। ভুয়া ভুয়া, । ছি! ছি! হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা।
এধরনের নানা স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে। এস পি বাংলার মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে স্লোগান দেয় । তারপরে তারা খুলনা রোড মোড়ে সদর হাসপাতালের সামনে । কিছু সময় দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কয়েকজন ছাত্র এবং মায়েরা বক্তৃতা করেন। এসময় মায়েরা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান। তারা বলেন, আমাদের ছেলেদের বুকের তাজা রক্ত ঝরেছে। আমরা খুনি হাসিনা পতন ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না।
পরে আবার মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের নারিকেলতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সাথে তাদের অভিভাবক এবং কিছু পেশাজীবীরা অংশ গ্রহণ করেন।
গণ ও সমাবেশ চলাকালে বিভিন্ন ধরনের মানুষ সমাবেশরত শিক্ষার্থীদের পানি বিস্কুট ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করেন।
সম্পাদক: বিপ্লব কুমার দাস,প্রকাশক:আবছার উদ্দিন