বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি জেনিভা প্রিয়ানা
বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের প্রসার ঘটেছে। এরই মধ্যে অনলাইন জুয়া একটি নতুন সামাজিক ব্যাধি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। রামপাল উপজেলার অনেক যুবক এখন এই অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে, যুব সমাজের একটি বড় অংশ স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন বেটিং ও ক্যাসিনো অ্যাপে জড়িয়ে পড়ছে। তারা প্রথমে সামান্য অর্থ দিয়ে শুরু করলেও পরে বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে পরিবারিক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছে।শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে, ফলে শিক্ষার মানও নেমে যাচ্ছে। পাশাপাশি, অনেকেই ক্ষতি পুসিয়ে নিতে চুরি, প্রতারণা, এমনকি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
একজন অভিভাবক বলেন, "আমার ছেলে পড়াশোনার পরিবর্তে সারাদিন ফোনে জুয়ার অ্যাপে সময় কাটায়। অনেকবার বোঝানোর পরেও কিছুতেই সে ফিরে আসছে না।"
স্থানীয় এক শিক্ষক জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, মনোযোগে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। উপজেলার ঝনঝনিয়া এলাকায় সাহেদ নামের এক যুবক এটা নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনলাইন জুয়া বন্ধে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন রামপাল বাসি। অনলাইন জুয়া বন্ধে কঠোর নজরদারি, সচেতনতামূলক প্রচার এবং পরিবারের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ন। রামপালে অনলাইন জুয়া একটি মারাত্মক সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যুব সমাজকে এই ধ্বংসাত্মক পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে এখনই প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক:আবছার উদ্দিন