ব্রাহ্মণপাড়ায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৬ জন আহত।
মোঃ শরিফ খান আকাশ।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নে ছোটধুশিয়া গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার সূত্র ধরে পরদিন বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে অন্যদের বাড়িতে একা পেয়ে আরো ৩ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পড়ে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। হামলায় আহতরা হলেন চান্দলা ইউনিয়নের ছোটধুশিয়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে প্রবাসী রুবেল মিয়া (৩২)তার বৃদ্ধ বাবা হোসেন মিয়া (৬৫)ও হোসেন মিয়ার ছোট ভাই শাহজাহান (৫৫) মৃত কনু মিয়ার ছেলে এমদাদুল (৩৫) তার ভাই সালাউদ্দিন (২৮) ও মৃত্যু আবুল হোসেনের ছেলে আবু তাহের (৫৫)।
এ ব্যপারে আহত রুবেল মিয়া বলেন, আমার বাবা হোসেন মিয়া একজন সামাজিক লোক সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সাল্লিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষে কাজ করে এ বিষয়টি আমাদের পাশাপাশি বাড়ির দুধ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম গংদের সহ্য হচ্ছিল না এ নিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ চলছিল। সে ঘটনার সূত্র ধরেই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের ৬ জনকে গুরুতর আহত করে আমরা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছি। হামলাকারীরা হলেন একই এলাকার দুধ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম তার ভাই মজিবুর রহমান,ও সাদ্দাম হোসেন, ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সবুজ মিয়া, মৃত্যু সুলতান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া, জয়দল মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া, ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহিন মিয়া তার ভাই রিপন মিয়া, মৃত্যু উসমান মিয়ার ছেলে ইউনুস মিয়া, মৃত্যু আবদুল হাকিমের ছেলে এরশাদ মিয়াসহ আরো অনেক হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করে এবং আমাদের বাড়ি ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি শুনেছি চান্দলা ইউনিয়নের ছোট ধুশিয়া এলাকায় মারামারি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেহ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।