শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
Headline
Wellcome to our website...
বাঘাইছড়িতে ১৮তম বিজু মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
/ ১৩ Time View
Update : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৬ অপরাহ্ন

বাঘাইছড়িতে ১৮তম বিজু মেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আনোয়ার হোসেন বাগাইছড়ি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বর্ষবর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ে জুড়ে বসেছে বৈশাখীর সুর ফুল দিয়ে জলাবদ্ধ ক্ষমাপার্থনার মাধ্যমে শুরু হল অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু।

প্রথম কর্মসূচি শনিবার ১২ এপ্রিল সকাল ৭ঘটিকায় জীবঙ্গাছড়া (বাবুপাড়া) যুব উন্নয়ন স্পোটিং ক্লাবে আয়োজনে বিজু সংগ্রাই বৈশি বিজু বিহু সংগ্রাই পাতা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি বের করেন।

উক্ত রেলিটে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার, বাঘাইছড়ি থানা’র অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির,সাবেক পৌর কাউন্সিলর রুবেল চাকমা সহ বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত মানুষ।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর রুবেল চাকমার পরিচালনায় রেলিটি জীবঙ্গাছাড়া (বাবুপাড়া) থেকে বের হয়ে কাচালং নদীর তীরে এসে মা গঙ্গাকে প্রার্থনা করে কলাপাতায় ফুল বসিয়ে বর্ষবরণ করেন।

দ্বিতীয় কর্মসূচি ১২ই এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকায় জীবঙ্গ ছড়া তথা বাবুপাড়া যুব উন্নয়ন স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গণে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব দেবপ্রসাদ চাকমা সদস্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সার্কেল শিফ চাকমা সার্কেল ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়।
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরিন আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাঘাইছড়ি।
বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির অফিসার ইনর্চাজ বাঘাইছড়ি থানা, রহমতুল্লাহ খাজা সাধারণ সম্পাদক পৌর বিএনপি সহ সাংবাদিক বৃন্দু ও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তব্য প্রদানে শুরুতে শিরীন আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাহাড়ি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিজু উৎসবের শুভেচ্ছা জানান আমাদের পুরনো বছরের দুঃখ কষ্ট ও গ্লানি দূর করে নতুন বছরটি সুখে কাটে সে আশা ব্যক্ত করেন। এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন বিজু মানে চেতনা বিজু মানে আনন্দ উল্লাস পুরনো বছরের গ্লানি ও দুঃখ কষ্ট।
পিছনে ফেলে রেখে নতুন বছরের আশায় এগিয়ে যেতে চাই। এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে এটাই আমাদের কামনা। আজকের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের সারা বাংলাদেশে ক্রীড়া জগতে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা গর্বিত যে
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাই ও বোনেরা জাতীয় পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। পরিশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে আলোচনা সভা শেষ করেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page