রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
Headline
Wellcome to our website...
গভীর রাতে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই
/ ২১০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪, ২:৩৭ অপরাহ্ন

গভীর রাতে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই

মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম)

সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ৩০ মে ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটে আমতলি বাজারের উত্তর পাশে নির্মল কবিরাজের বাড়ীতে। এতে ঘরের থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের মালিকের ভাষ্যানুযায়ী জানা গেছে ঘরের মধ্যে ছিল ২০ টি মাছ ধরার জাল, ৫ ভরি স্বর্ণ, দলিল পত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র ৮ টি সহ অনেক আসবাব পত্র সম্পন্ন পুরে ছাই হয়ে গেছে।

সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন অফিসার কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া বলেন আমি চট্টগ্রাম অবস্থান করছি, রাতে একটি ফোন কল থেকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোক পাঠাই। তারা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত, তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাশের ঘরের লোকজন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে তাদের তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিকের অমুল্য জলদাস (৫০) জানান গভীর রাতে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন আমার ঘরে কেউ ছিল না, আমার পরিবারের সব সদস্য গত এক সপ্তাহে পর্যন্ত পলাতক ছিল, মামলার কারণে। অমূল্যের
স্ত্রী শরবতী জলদাস বলেন তার ছেলের সাথে পাশের ঘরের মেয়ের প্রেম সম্পর্ক ছিল, সে বিষয়কে কেন্দ্র করে শানুর ফ্যামিলির লোকজন আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। অমুল্য জলদাসের ছেলে ভতার স্ত্রী লিমা রানী, মিলনের স্ত্রী প্রাণবতী একই অভিযোগ করে বলেন, গভীর রাতে আমাদের ঘরে আগুন দেয়ার সময় আমরা কেউ ঘরে ছিলাম না। শানুদের পরিবারের লোকজন আমাদের ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শানুর ছেলের স্ত্রী বলেন আমরা এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। মগধরা ইউপির ৬ নং ওয়াডের সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন দীর্ঘদিন তাদের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক ছিল দহরম- মহরম। গত কিছুদিন আগে তাদের দুই পরিবারের ছেলে এবং মেয়ে পরস্পরকে ভালোবেসে একত্রে পালিয়ে যায়, এ বিষয়ে ছেলের পক্ষ থেকে মামলাও হয়েছে।মামলার গ্রেফতার ভয় এড়াতে আগুন লাগার রাতেও ভুক্তভোগিরা অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঠিক এ মুহূর্তে অগ্নিকার্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার বিষয়টি আমি জানার পর উপজেলা চেয়ারম্যান কে জানাই। তিনি আমাকে নির্দেশ প্রদান করছেন দুই পরিবারকে নিয়ে বসে বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি করতে কিন্তু তারা কেউ আসে নি শুনেছি দুই পক্ষ থানা ও আদালতে গিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page