রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
Headline
Wellcome to our website...
ড্রাগন চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান চৌধুরী
/ ১৯৪ Time View
Update : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ৪:১৮ অপরাহ্ন

ড্রাগন চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান চৌধুরী

মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম

সন্দ্বীপে  বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন  ফল ড্রাগন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে উঠেছেন অনেকে।দিন দিন দ্বীপে  জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশি  বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ।

সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চৌধুরী  কুয়েত প্রবাসী, ২০২০ সালের শেষের দিকে তিনি মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে কাঠা  জমিতে ড্রাগন ফল রোপণ করছেন।

প্রতিবছর মে মাসে থেকে ডিসেম্বর  মাস পর্যন্ত গাছে ফল দিতে থাকে মে  মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ড্রাগন ফলসংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উঁচু জমিতে  সারি সারি ড্রাগন গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে টুকটুকে লাল ড্রাগন। প্রতিটি খুঁটিতে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরেছে। বাগান প‌রিচর্যার কাজ করছেন মিল্টন মোঃ সেলিম  ও তার স্ত্রী।

বাগানের উদ্যোক্তা মোঃ সেলিম (৬৫) জানান,ইউটিউবের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হই।  ড্রাগন বাগান ও চাষ আমি বগুড়া থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে, আমার এক বন্ধু কুয়েত প্রবাসী চৌধুরী তার অর্থায়নে ২০২০ সালের শেষের দিকে এ চাষ শুরু করি, এক বছর পর থেকে গাছে ফল দেয়া শুরু করে। এ বাগান থেকে এখন প্রতি বছর ৫/৬ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। সেলিম আরো বলেন আমাদের  বাগানে একটি ড্রাগন ফল ৮০০-৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের হয়। বছরে শীত মসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি আট মাস ড্রাগনের ফলন অব্যাহত থাকে।সেলিমের  স্ত্রী  বলেন, এই বাগানটি করার সময় আমিও আমার স্বামীকে অনেক সহযোগিতা করেছি।  মাঝে মাঝে স্বামী অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে আমি বাগানটি দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। আমাদের একটাই আশা এই বাগানটির মাধ্যমে আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সন্দ্বীপ  উপজেলায় মোট ২ হাজার  শতাংশ জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায়  ৪০ টি  ড্রাগন বাগান রয়েছে। সকল বাগানেই ফলের উৎপাদন ভালো এবং ফল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন  বলেন, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page