রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
Headline
Wellcome to our website...
শাহাদাত হোসেন,নিজের কণ্ঠস্বর বিক্রি করে সফলতা অর্জন।
/ ২২৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

শাহাদাত হোসেন,নিজের কণ্ঠস্বর বিক্রি করে সফলতা অর্জন।

মিন্টু কান্তি নাথ রাজস্থলী(রাঙ্গামাটি)
নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন জন্ম রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ডাকবাংলা পাড়া পিতা মোঃ কামাল সওদাগরের বড় ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন শখের বসে হয়েছেন ভয়েজ ওভার আর্টিস্ট,এখন নিজের কণ্ঠের ভয়েস বিক্রি করে সফলতা অর্জন করেছেন।
এমনকি দেশ-বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন।
শাহাদাত হোসেন বাড়ি রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালহালিয়া এলাকায় হলেও,সেই এখন ব্যবসার সফলতার অর্জনে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে বর্তমানে বসবাস করেন রাঙ্গুনিয়া চন্দ্রঘোনা দোবাষী বাজারে।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে একটু একটু মোবাইল বিষয় অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং রেডিও সিডি বিসিআরে যখন ইসলামিক সংগীত
শিল্পীরা গাইতেন তখন তারও ভালো লাগতো, তখন সে ঘরে বসে নিজে নিজে ইসলামিক সংগীত গাইতেন এবং হঠাৎ এক সময় একটি ইসলামী সংগীত অনুষ্ঠানে গজল পরিবেশন করতে ডাকা হয়। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠানে গজল পরিবেশন করতেন।পরে একদিন মনে মনে সে সিদ্ধান্ত নেই সে একদিন নিজে নিজের স্টুডিওতে গজল গাইবে,
তখন থেকে মোবাইল নিয়ে ইউটিউব ঘাটাঘাটি শুরু করেন,কিভাবে কাজটি শিখা যায় এবং কিভাবে ইসলামিক গান গাইতে হয়। এবং সেটা রেকর্ডিং করতে হয়। এই বিষয়ের উপর তিনি
প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন প্রথমে অনলাইন থেকে দীর্ঘ চার বছর ধরে সফটওয়্যার এর কাজ এবং ভয়েস কিভাবে দিতে হয় সেটা শিখেন।
এছাড়াও তার দুই একজন ওস্তাদ ও ছিলেন এই বিষয়ে কাজ শিখান। এছাড়া মোবাইল এবং কম্পিউটার কাজটাও সেই শিখে নেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগান।
এখন তিনি প্রতিদিন তার কন্ঠের ভয়েস বিক্রি করে বাংলাদেশের 64 জেলায় এবং দেশের বাইরে পর্যন্ত। এটাই এখন তার একমাত্র পেশা।

তিনি আরো জানান মেধা আত্মবিশ্বাস পরিশ্রম
তিনটা জিনিস থাকলে সফলতা আসবেই
তিনি আমাদেরকে আরো জানান অনলাইনে কাজ পাওয়া একটু কষ্টকর,কারণ অনেকেই অনলাইনে কাজ করে দিবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন।এতে করে অনলাইনে কাজ পাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে পড়ে,তবে শাহাদাত হোসেন মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে দেশ-বিদেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।
যে একবার শাহাদাত হোসেনের রাঙ্গুনিয়া দোভাষী বাজার ফেরিঘাট এলাকার মীম রেকোর্ডিং সেন্টারে ক্লায়েন্টের কাজ করেছে, তারাই কাজ ভালো পেয়ে পরবর্তীতে ফোন করে আবার নতুন কাজের অর্ডার করেন। তখন শাহাদাত হোসেন আরো ভালো কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন কাস্টমারদেরকে।
তিনি আরো বলেন মানুষ অনেকটাই বিশ্বাস করে অনলাইনের মাধ্যমে,আমি সেই বিশ্বাসটাকে যত্ন করে রেখেছি পুঁজি হিসেবে আমার কাছে অনেক মানুষ কাজ করান বাংলাদেশে প্রায় বেশিরভাগ আমার ভয়েস দিয়ে বিজ্ঞাপন এবং মাইকিং করে থাকে।এবং আমার রেকর্ডিং সেন্টার থেকে প্রচার মাইকিং ভিডিও বিজ্ঞাপন কলার টিউন,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েবসাইটের কাজ,ভয়েস ওভার আটিস্ট,ভিডিও এডিটর,মিউজিক কম্পোজার,গ্রাফিক্স ডিজাইনার,মিডিয়া এক্সপার্ট,তার ভয়েস দিয়ে শুরু হয়।কারো নির্বাচনী প্রচার কারো দোকান শোরুম এর উদ্বোধনী প্রচার,কোন হাসপাতাল কিংবা কোন ডাক্তারের চেম্বারে প্রচার এছাড়া রিংটোন হিসেবে তার ভয়েস বিক্রি করা হয়,কলার টিউন এর মাধ্যমে।
তার দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে (১)মিম রেকোডিং স্টুডিও এবং (২)মিম টেলিকম,তিনি চন্দ্রঘোনা মোবাইল ইন্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং চন্দ্রঘোনা নবগ্রাম ৭ নং ওয়ার্ড হিলফ উল ফুজুল একতা সংঘটনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব আছেন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের কাছে দোয়া আশীর্বাদ কামনা করছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page