

পাবনায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের বিশাল কারখানা
স্টাফ রিপোর্টার: স্বপন
১ লা জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ
পাবনার চাটমোহরে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামে সন্ধান মিলেছে এমন কারখানার।
সেখানে অবাধে জাল তৈরি, বিক্রয় ও বিপণন হচ্ছে মিহি ও হালকা চায়না দুয়ারি জাল। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাছ ধরার উপকরণ প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে জাল তৈরি করছেন সুশান্ত হলদার নামের এক ব্যক্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের কালিপদ হলদারের ছেলে সুশান্ত হলদার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য চাটমোহরের ১১ নম্বর বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিথী ট্রেডার্সের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বোঁথর গ্রামে চায়না দুয়ারি জালের কারখানা পরিচালনা করছেন।
সরেজমিনে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, কারখানার ভেতরে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জাল তৈরির বিভিন্ন উপকরণ। জালের মধ্যে প্রবেশ করানোর জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে লোহার চিকন রড। ঢেকে দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের চিকন পাইপ। একটি কক্ষে স্তূপ করে রাখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ নতুন জাল। পাশের শেডে ফ্রেমে তৈরি হচ্ছে জাল।
স্থানীয়রা জানান, বেশকিছু দিন ধরে এ বাড়িতে তৈরি হচ্ছে চায়না দুয়ারি জাল। বাইরের কাউকে এ বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নারী-পুরুষ কারিগররা ভেতরে কাজ করে। এ বাড়িতে কি হচ্ছে তা এলাকার কেউ কেউ জানলেও অনেকেই জানে না।
কর্মচারীরা জানান, অল্পকিছু দিন ধরে এখানে জাল তৈরি হচ্ছে। সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে কারিগররা আসেন জাল তৈরি করতে। তবে তাদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে বলেও জানান তারা।
বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, সিথী ট্রেডার্সের নামে মাছ ধরার উপকরণ প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্সটি আমার দেওয়া। তবে, মালিক সুশান্ত হলদার যে এ ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চায়না দুয়ারি জাল তৈরি করছেন তা আমার জানা নেই।
কারখানার মালিক সুশান্ত হলদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
চাটমোহর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন কালবেলাকে বলেন, চায়না দুয়ারি জাল তৈরি, ব্যবহার, বিপণন, পরিবহন নিষিদ্ধ। বোঁথরে চায়না দুয়ারি জালের কারখানা রয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। যত দ্রুত সম্ভব ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।