

আব্দুর রকিব সোহেল, স্টাপ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
দেশের অন্যান্য জায়গার মতো মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরো অবনতি হয়েছে। আড়াই লাখ মানুষ হয়ে পড়েছে পানিবন্দী। চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
গত তিন দিনে জেলার সাত উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বাসিন্দারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে বড়লেখা, ঝুড়ি, রাজনগর, কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় মনু নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি প্রবেশ করে। ফলে সকাল থেকে মৌলভীবাজার-রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ ও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া-বড়লেখা সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় টিলাগাঁও কুলাউড়া উপজেলা ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। বন্যা কবলিত এসব এলাকার মানুষ বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন।
সরকারী কর্মকর্তা এবং আশ্রয় প্রশাসকদের পরিদর্শনের অভাবের কারণে, তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাত উপজেলায় বন্যার্তের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৬৮৭ জন এবং ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন।
জেলার ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সরকার ৭টি উপজেলায় ২৩৫ টন চাল ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পানি সম্পদ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জুড়ি নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ১৯৩ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীতে ৩০ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাটে ১১৮ সেন্টিমিটার এবং রেলওয়েতে ৮৫ সেন্টিমিটার। সেতু এ ছাড়া মৌলভীবাজার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপরে। এছাড়া মনু নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে বন্যার পানি জেলার অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে।