“ঝুট ব্যবসা কেন্দ্র করে ২ যুবদলের নেতার শোডাউন, আতঙ্কিত এলাকাবাসী “
মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে।
জেলা গাজীপুর উপজেলা শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে জেলা ও পৌর যুবদলের দুই নেতার মধ্যে শোডাউনের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সময় পৌরসভার গিলারচালা গ্রামের প্যারামাউন্ট কারখানার সামনে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ার বেপারী এবং শ্রীপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আবু তাহের প্রধানের অনুসারীদের মধ্যে এ শোডাউনের ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় সূত্র জানায়,য়ে ‘প্যারামাউন্ট কারখানা থেকে ঝুট বের করা হবে বলে। এমন সংবাদ পেয়ে আবু তাহের প্রধান তার অনুসারীদের নিয়ে কারখানার সামনে জড়ো হন, এবং বাধা দেওয়ার জন্য উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে আনোয়ার বেপারীর অনুসারীরাও কারখানার সামনে এসে পাল্টা শোডাউন দেয়। উভয় পক্ষের শোডাউনে আশপাশের লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শোডাউনের পর দীর্ঘ সময় ওই এলাকায় জনমনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আটার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছিল।
এ বিষয়ে আনোয়ার বেপারী দাবি করেন, ‘বিএনপি নেতা ডাঃ এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নির্দেশে মালিকপক্ষ তাকে ঝুট ব্যবসার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং তার কোনো লোকজনও শোডাউনে জড়িত ছিল না’।
অন্যদিকে, আবু তাহের প্রধান অভিযোগ করেন-আনোয়ার বেপারীর নামে কমপক্ষে ২০টি কারখানার ঝুট ব্যবসায় নাম রয়েছে। তিনি দাবি করেন,’দাতা পরিবারের সদস্য নজরুল ইসলাম ও সেলিমের লোকজন শোডাউনে জড়িত ছিল। তাদের সাথে সমন্বয় করে ঝুট বের করার কথা থাকলেও আনোয়ার বেপারী একাই ঝুট বের করছেন বলে খবর পেয়ে তিনি এবং তার লোকজন সেখানে বাধা দিতে ঘটনাস্থলে যান।
এই দিকে-শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘উত্তেজনা সৃষ্টির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মালিকপক্ষ আজ কারখানা থেকে কোনো মালামাল বের করেনি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখেছে’।
গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা জানান, ‘ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে এটা অনভিপ্রেত, দল এরকম কিছুই সমর্থন করছে না। যদি এটা সত্য হয়,যদি এটা কেউ অভিযোগ দায়ের করে,তাহলে দল তদন্ত করে দেখবে’।
এলাকার রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন,’ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্বার্থ হাসিলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপির কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা। এতে করে বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দলীয়ভাবে দলের ক্ষতি সাধন করছেন,বলে তিনি জানান।