শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
Headline
কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার হোসেনপুর জনকল্যাণ সমিতির দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান। পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসবে ‘আমার স্কুল পরিচ্ছন্ন আমার পরিচ্ছন্ন শহর’। শহর পুড়ে ছারখার – নিয়ন্ত্রণহীন আগুন বাউফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন! সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন কর্তক অর্ধ কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল জব্দ রাজবাড়ীর সেই ‘মানবিক ডিসি’ এবার নারায়ণগঞ্জে বদলি কুমিল্লা নগরীতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক-৭ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছাড়াই চলছে ভূমি অফিসের সকল কার্যক্রম  আজ সাংবাদিক সোহলে রেজার ছোট ছেলের শুভ জন্মদিন পালিত
Headline
Wellcome to our website...
নোয়াখালীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি
/ ৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি
বেলাল হোসেন কামাল ব্যুরো চীপ নোয়াখালী :
নোয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় এই জিডি করেন। যাহার জিডি নং ৬০৫ /০৯.০১.২০২৫। সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য, তিনি দ্য ডেইলি পোস্ট পত্রিকা ও সময়ের কণ্ঠস্বর অনলাইন মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। অপর ভুক্তভোগী সাংবাদিক এ কে এম ফারুক হোসেন তিনিও নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের একজন সদস্য ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় Bakhtiar Shikdar নামে একটি ফেক আইডি থেকে এই ভিডিও পোস্ট করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বখতিয়ার শিকদারের বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করি না। আমার নাম ও ছবি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ফেক আইডি খুলে আমার এবং আমার সহকর্মীদের নামে মিথ্যা প্রপাকাণ্ড ছড়াচ্ছে। এই ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে আমি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে থানায় একটি জিডি করেছি।

সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু অভিযোগ করে বলেন, ফেক আইডির মিথ্যা প্রপাকান্ডে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই ফেক আইডি থেকে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সম্মানহানি করার জন্য এই আইডি থেকে আমার ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। আমি দীর্ঘদিন থেকে পরিচ্ছন্নভাবে পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি এমন মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আপত্তিকর মন্তব্য করে, ভুল ব্যাখ্যায় আমার ছবি সম্বলিত ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখানে আসল বিষয় হচ্ছে গত কিছুদিন আগে আমার আপন বড় ভাইয়ের বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়। তারপর আমরা চোরকে সনাক্ত করতে সমর্থ হই। পরবর্তীতে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা চোরাইকৃত স্বর্ণ কোন দোকানে বিক্রি করেছে সেটা জানতে চাইলে তারা জানায় বিশ্বনাথের ‘শিল্পী স্বর্ণ শিল্পালয়’ নামে একটি স্বর্ণের দোকানে তারা স্বর্ণ বিক্রি করেছে। চোরের দেওয়া তথ্য মতে চোরকে নিয়ে আমি সেই দোকানে যাই। এ সময় আমাদের আরো সাত আট জন সাংবাদিক সহকর্মী এসে হাজির হয়। পরবর্তীতে চোরের সম্মুখে সেই স্বর্ণের দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে দোকানদার স্বর্ণ কিনেছেন বলে স্বীকার করেন। এবং স্বর্ণ কিনে তিনি তা বিক্রিও করে ফেলেন বলে জানান। তার জবানবন্দীর পুরো ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। দোকানদার অন্যায় ভাবে স্বর্ণ ক্রয় করার কারণে সে দোষী সাব্যস্ত হওয়াতে তার পার্শ্ববর্তী পরিচিত কিছু সাঙ্গপাঙ্গ দোকানদারকে বাঁচাতে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সাথে আমাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার দু’একজন সহকর্মীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যে কারণে আমার সহকর্মীরা পুলিশে খবর দিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দিলে সেই স্বর্ণ দোকানদারসহ যারা দুর্ব্যবহার করেছে তারা সকলে থানায় গিয়ে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় এবং মুচলেখা দিয়ে ক্রয়কৃত স্বর্ণ ফেরত দেয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। যার পূর্ণ বিবরণ আমার অভিযোগে আমি লিখেছি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেন বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীর ভাইয়ের চুরি হওয়া স্বর্ণের বিষয়ে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য সেখানে যাই। স্বর্ণ দোকানদারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির পর্যায়ে চলে আসলে একদল অসাধু চক্র আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। যে কারণে আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে তারা থানায় মুচলেখা দিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চায় এবং চোরাইকৃত স্বর্ণ ফেরত দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের ভিডিও ধারণ করে তা ভুল ব্যাখ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সম্মানহানি করা হয়েছে। আমরা আইনি প্রতিকার আশা করছি।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page