

নাম :জোবায়ের শেখ
ঠিকানা : গোপালগঞ্জ সদর। গ্রাম নলডাঙ্গা( মাঝিগাতী)
জোবায়ের এর বউ নাম : বর্ষা
গ্রাম রঘুনাথপুর।
এই মেয়ে তার সামির বাসা থেকে ১৭/০৪/ ২০২৫ তারিখে। ইসমাইল মোল্যা। এর সাথে পালিয়ে গিয়েছে। ১৭/০৪/২০২৫ তারিখের সন্ধা ৭ টার দিকে।এবং পালিয়ে যাওয়ার সময়, জুবায়ের এর বাসা থেকে নগত ১,৬৫,০০০ টাকা এবং একটি মোবাইল নিয়ে যায় । যার বাজার মুল্য ১৮০০০ হাজার টাকা। তাই এর পরিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটা অভিযোগ করেন।
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ,
সদর থানা গোপালগঞ্জ
বিষয়া অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে। বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জোবায়ের শেষ (২৫), পিং- আজাদ শেখ, সাং- নলডাঙ্গা (মাঝিপাতী), থানা ও জেলা গোপালগঞ্জ। এই মর্মে থানায় আসিয়া শিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। হাদিয়া বেগম (২২) মোবাইল: ০১৩১০৮০৭৭৮২, শিং কামাল সরদার, সাং। রঘুনাথপুর (টাপরিঘ্যাটা), ২। ইলমাইল মোল্যা (১৯), মোখা ০১৯৯৮০৬৪৪৪৩, পিং। ছবুর মোল্যা, ৩। ছবুর মোল্যা (৫৫), পিং অজ্ঞাত, উত্তয় সং। বান (মধ্যপাড়া), ৪। সোহাগী খানম (২৫), ৫। সুমন সরদার (২৩), উভয় পিঃ কামাল সরদার (মোবা ০১৭৫৪২৬৩৫১৬), ৬। কামাল সরদার (৫৫), পিচ। মালেক সরদার, সর্ব সাং। রঘুনাথপুর (টাপরিঘাটা), সর্ব থানা ও জেলা গোপালগঞ্জ। ১নং বিবাদী সম্পর্কে আমার স্ত্রী, ২নং বিবাদী আমার সহকর্মী, ৩নং বিবাদী ২নং বিবাদীর বাবা, ৪.৫.৬নং বিবাদী আমার শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয়। আমি এবং ২নং বিবাদী খবির খাঁ এর খামার বাড়ীতে একসাথে চাকুরীরত আছি। ১নং বিবাদীর সহিত ৪বছর পূর্বে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। বিবাহের পর আমার ঔরষে ১নং বিবাদীর গর্ভে ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে তাহার নাম- জোনাকি (৩)। ১নং বিবাদী প্রায় সময়ে অসময়ে আমার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অহেতুক ঝগড়া বিবাষ সৃষ্টি করে এবং প্রায়ই আমাকে মারধর করে। আমি বাড়ীতে না থাকার সুবিধার্থে ১নং বিবাদী ২নং বিবাদীর সাথে পরোকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে যায় যাহা আমি আশ-পাশের লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারি। অদ্য ১৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধা ৬.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার বাড়ীতে না থাকার সুযোগে অন্য সকল বিবাদীর স্বরাপরামর্শে ১নং বিবাদী আমার ঘরের সকল ব্যবহৃত মালামাল সহ ঘরে রক্ষিত থাকা নগদ ১,৬৫,০০০/- টাকা ও আমার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন নিয়ে চলে যায় যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য- ১৮,০০০/- এবং চলে যাওয়ার সময় আমার ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। ইছারপর আমি ৬নং বিবাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭৫৪২৬০৫১৬ নম্বরে ফোন দিয়ে উক্ত বিষয় জানাইলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ততার সহিত বলে যে আমাকে কোন কিছু জানাবে না তোমাদের বিষয় তোমরা বুঝো আমাকে পরবর্তীতে কখনও ফোন দিবে না ফোন দিলে তোমার জীবনের শেষ শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দিবো। ২নং বিবাদী পূর্ব পরিকল্পনা করিয়া অদ্য ১৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধা ৬.০০ ঘটিকার সময় আমার সহকর্মী মাসুদ মোল্যা (২৮) এর ঘরে রক্ষিত থাকা নগদ ১,২৫,০০০/- টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর ১৩২নং বিবাদীকে আমরা আমাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে অনেক খুজাখুজি করিয়া কোথায় পাইনি। অদ্য ১৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধা ৭.০০ ঘটিকার সময় ১৩২নং বিবাদীকে আমার চাচাতো ভাই আলামিন (৩৫) দেখতে পারিয়া আমাকে ফোন কলের মাধ্যমে বলে যে, তোমার স্ত্রী এবং তোমার সহকর্মী ইসমাইলকে এক সাথে দেখলাম একটি অজ্ঞাতনামা ইজিবাইক যোগে কোথায় যেন চলে যাচ্ছে। তখন আমার চাচাতো ভাই ১৩২নং বিবাদীর পিছনে দৌড় দিলে ১৩২নং বিবাদী অজ্ঞাতনামা ইজি বাইক জোরে চালিয়ে চলে যায়। এমতাবস্থায় আমি কোন উপায়ন্তর না পেয়ে অত্র থানায় হাজির হইয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিলাম। অতএব, উক্ত বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আনাবের একান্ত মর্জি হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাজিম মোল্যা।