বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
Headline
বাগেরহাটের সদর উপজেলার ডেমো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উদ্ধার ড. মোহাম্মদ ইউনুস ব্যক্তিগত সফরে গেছেন নাকি রাষ্ট্রীয়,সফরে? বাংলাদেশর জনগণ টাকার বিনিময়ে ভোটদেয় ড.মুহাম্মদ ইউনুস। সচেতনতা মূলক পোস্ট ঃ ডিমওয়ালা মাছ রক্ষা করতে হবে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছাত্র অধিকার পরিষদের সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। প্যারোলে মুক্তি পেলো সাংবাদিক দম্পতি বাগেরহাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে জন্য জরিমানা,, প্রাইভেটকারে ছিলো একই পরিবারের ৫ জন, প্রাণ গেলো শিশুর চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদেশী নাগরিকের ছিনতাইকৃত মোবাইল উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ২ টি ছুরি সহ সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ওয়াহেদপুর এ জোরপূর্বক ভাবে ঘর করার অভিযোগ
Headline
Wellcome to our website...
কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যাচ্ছে কাচারি ঘর
/ ২১১ Time View
Update : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যাচ্ছে কাচারি ঘর

বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ।

এক সময় গ্রামীণ জনপদের অবস্থাসম্পন্ন অধিকাংশ গৃহস্থের বাড়িতেই ছিল কাচারিঘর। আর এই কাচারিঘর ছিল গ্রাম-বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ। কালের বিবর্তনে আজ কাচারিঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। গেস্টরুম কিংবা ড্রয়িং রুমের আদি ভার্সন কাচারিঘর এখন আর গ্রামীণ জনপদে দেখা যায় না।

কাচারিঘর মূল বাড়ির একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা ঘর। অতিথি, পথচারী কিংবা সাক্ষাৎ প্রার্থীরা এই ঘরে এসেই বসতেন। প্রয়োজনে দু-এক দিন রাতযাপনেরও ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরে। কাচারিঘর ছিল বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। কাঠের কারুকাজ করা টিন অথবা ছনের ছাউনি থাকত কাচারিঘরে। আলোচনা, শালিস বৈঠক, গল্প-আড্ডার আসর বসত কাচারিঘরে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামের লোকজনদের উপস্থিতিতে কাচারিঘরে বসত পুঁথিপাঠ। পথচারীরা এই কাচারিঘরে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন।

বিপদে পড়লে রাতযাপনের ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরে। গৃহস্থের বাড়ির ভেতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাচারিঘরের অতিথির জন্য। আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার) থাকার ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরেই। কোনো কোনো বাড়ির কাচারিঘর সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

বিলুপ্ত প্রায় ‘বাংলো ঘর’ নামে খ্যাত ‘কাচারি ঘর’। এখন সে জায়গায় স্থান করে নিয়েছে ড্রয়িং রুম। বর্তমানে যে কয়টি কাচারিঘর অবশিষ্ট আছে তাও অবহেলা-অযত্নে ধ্বংস প্রায়।

সময়ের বিবর্তনে শহরের পাশাপাশি গ্রামের পরিবার গুলোও ছোট ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিলুপ্তির পথে শতবর্ষের বাঙালি ঐতিহ্য কাচারি ঘর নামে খ্যাত বাহির বাড়ির বাংলো ঘরটি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page