

“পুলিশকে গুলি করলেন অন্য এক পুলিশ”
মোঃ রেজাউল করিম
স্টাফ রিপোর্টাঃ সমগ্র বাংলাদেশ।
ডিউটি রত অবস্থায় অন্য এক পুলিশকে গুলি করে নিহত করেছেন,আর এক পুলিশ সদস্য।
সূত্রমতে,জানা যায় বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশে দায়িত্বেরত ছিলেন পুলিশের দুই কনস্টেবল কাউসার আলী ও মনিরুল ইসলাম দুই পুলিশ সদস্য ।
দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে,এক পর্যায়ে, কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাউসার। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল ওই পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ নামে এক ব্যক্তি।
শনিবার রাত আনুমানঃ ১২ টার দিকে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সড়কে যানবহন চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ অন্যান্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণ।
এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ সবকিছু শুনে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তের আগে বিস্তারিত কোন বলা যাচ্ছে না।
এই দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। তখনও সে ** অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। মনিরুল কেনো রাস্তায় পড়ে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানায়,সে নাকি নাটক করতেছে। এরপর কাউসার দূতাবাসের প্রধান ফটকের উল্টো পাশের সড়কে চলে যায়। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে তাঁরা ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলির শব্দ আমরা শুনেছি।
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখকে ভর্তি করা হয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়,বলে আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ শেখের এক স্বজন বলেন, সাজ্জাদের হাতে ও পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন,তিনি জানান।
এ ঘটনায় ,কনস্টেবল মনিরুলকে হত্যার ঘটনার রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন তাঁর বড়ভাই মাহবুব। গুলশান থানা-পুলিশ মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।