শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
Headline
কালিয়াকৈরে ইসরালীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। বাঘাইছড়িতে ৪ নং ওয়ার্ড পৌরসভায় সেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ নেএীর পক্ষে সুপারিশ করলেন বিএনপি নেতা। নরসিংদীর শিবপুরে ১২ বছরের ছাত্রী ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছেন র‍্যাব ১১। জুলাই আগস্টে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাউফল উপজেলা বিএনপি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের দাবিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর পাহাড়ে প্রথম বারের মত পেয়াজ চাষে সাফল্য কুমিল্লায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলেন নাহিদ
Headline
Wellcome to our website...
কুমিল্লা নিয়ে বিএনপি নেতার বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল
/ ৩০ Time View
Update : শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪২ অপরাহ্ন

সাইফুল ইসলাম ফাহাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতিকালে যেখানে প্রস্রাবে ধরে এর নাম হচ্ছে কুমিল্লা’। নিজ জেলা নিয়ে এমন মন্তব্য করে এবার ভাইরাল হয়েছেন মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া নামের একজন বিএনপি নেতা। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এবং কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবাশ্বের কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

শুক্রবার ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাদের নিয়েও নানা বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেছে।

জানা যায়, শুক্রবার নাঙ্গলকোট উপজেলায় একটি ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্য রাখেন মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। এসময় তিনি ‘বেয়াদব ও মুনাফেকদের’ জন্য ফাঁদ পেতেছেন বলেও জানান। গতকাল রাত থেকেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এসব বক্তব্য ভাইরাল হয়। দলীয় নেতাদের নিয়ে এমন বক্তব্যের বিষয়ে দলের হাইকমান্ডকে লিখিতভাবে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির নেতারা।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি সড়কে যুবদলের কর্মীসভা করতে না দেওয়ায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদকে হুমকি দিয়ে ভাইরাল হন এ নেতা।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মোবাশ্বের আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘আবু এবং টিপুকে নিয়ে আগে কমিটি দেওয়ায় আবু তা মেনে নিতে পারেনি। রিয়েক্ট করেছে। আবু ভাই আমার বিরুদ্ধে ধর্মসাগর পাড়ে বক্তব্য দিছে। নিয়তি দেখেন। তখন টিপু ভাই কিন্তু প্রতিবাদ করেনি। ওনারা এখন এক ও অভিন্ন। এক সঙ্গে দুইজন সুখে শান্তিতে সংসার করছে। (উৎবাতুল বারী আবু মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ইউসুফ মোল্লা টিপু সাধারণ সম্পাদক) ওনাদের শত্রু আমরা, কারণ আমরা বহিরাহগত। ওনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী?’

ভিডিওতে তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতিকালে যেখানে প্রস্রাবে ধরে এর নাম হচ্ছে কুমিল্লা। আমরা বহিরাগতরা দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক সাপ্লাই দেই। আমাদের সঙ্গে ওনাদের প্রেম লোক সাল্পাই দেয়াই। ওনাদের স্বার্থে ওরা কারও ভাই না, আত্মীয় না। আমি এলাকায় ১৫৫ ওয়ার্ডে ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারব। আপনারা পুরো মহানগরের ২৭ ওয়ার্ডে এমন ২৭টি অনুষ্ঠান করতে পারবেন না। আপনাদের চেয়ে আমাদের পুঁজি খারাপ না।’

সদ্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনোনীত হওয়া হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমালোচনা করে মোবাশ্বের বলেন, ‘এক মাঘে শীত যায় না। ইয়াছিন সাবের পরিণতি দেখেন। ২০১৭ সালে আমাকে বাদ দিয়ে পাকা সুপারি দিছে, কষ্ট হইছে, সহ্য করেছি। ওনার ২৫ সালে বড় কাঁঠাল হানদায় গেছে। কাঁঠাল সহ্য করতে পারেন নাই। উপদেষ্টা হয়েছেন। প্রমোশন হয়েছে। কিন্তু জেলা থেকে বাদ গেছেন অপমানিত হয়ে। একজন টাকা দিয়ে কমিটি কিনেছে, তা টেকেনি। আমরা এখনও আছি। ২/৪ টায় বেয়াদবি করেছে। যদি কোনোদিন আল্লাহ সুযোগ দেয়, দাঁত ভাঙা জবাব দেব। মনে আছে লোকমান, আমি যখন কান্দিরপাড় উঠেছি, চেয়ারে চেগাই বসে রইছে, দুই রান ধরে ছিড়ে ফালাইব। আমি বেয়াদব ধরার ও মুনাফেক ধরার ফাঁদ বসাইছি, এ ফাঁদে অনেক বেয়াদব, মোনাফেক অনেক বেইমান ধরা খাইবে। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।’

এ বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু সমকালকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। কোনো সুস্থ্য ব্যক্তি দলীয় নেতাদের নিয়ে এমন অশালীন বক্তব্য দিতে পারেন না। এমন বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বিষয়টি এরই মধ্যে দলের হাইকমান্ড অবগত হয়েছেন। আমরা লিখিতভাবেও বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব।’

দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া আজ সমকালকে বলেন, ‘আমি তো শুধু রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করেছি মাত্র। আবু ও টিপুর বিরোধ আমি মিলিয়ে দিয়েছিলাম। ওই সময়ের ছবিও আছে। হাজী ইয়াছিন ২০১৭ সালে কথা দিয়েছিলেন তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতি হলে সাক্কু ভাই (সাবেক সিটি মেয়র) সাধারণ সম্পাদক হবেন। আর আমি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলে মোস্তাক কিংবা রাবেয়া আপা সভাপতি হবেন। কিন্তু হাজী ইয়াছিন কথা রাখেননি। তিনি (ইয়াছিন) নিজেই এখন দক্ষিণ জেলায় নেই।’ মোবাশ্বের বলেন, ‘যারা নির্বাচনের সময় ৫০০/১০০০ টাকার জন্য বসে থাকতেন তারাই এখন দলের পদে আছেন। মনির চৌধুরী (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) দলের জাতীয় নেতা, ওনার অনুষ্ঠানে দেখছি জেলার আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন প্রধান অতিথি হয়। অবস্থা এমন যে ব্যাংকের ম্যানেজারের চেয়ে ক্যাশিয়ার বড়।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page