
চুয়াডাঙ্গায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপি নেতা সহ ৭ জনকে কুপিয়ে যখম থানায় মামলা।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : ০৯-১০-২৪
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভাণ্ডারদহে বিএনপির নেতাসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম, রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) রাতে নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৯ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আহতরা হলেন- ভান্ডারদহ গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমাতউল্লাহ শেখ (৪৩), আমির হোসেনের ছেলে মুক্তার আলী (৫৫), তার স্ত্রী মিস্রি খাতুন (৪৭), তার ছেলে মারুফ হোসেন (৩০), আবুল মণ্ডলের ছেলে বসির আলী (৩৫), আইয়ুব আলীর ছেলে এশার আলী (৪৫) ও তোফাজ্জেলের ছেলে আকালে মণ্ডর (৫০)।
নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের তানজিল নামের এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় সেই সময় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন মিয়া আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। এর কারণে বেশ কিছুদিন বাড়িতে ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, আমি শংকরচন্ড ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটরের কর্মরত থাকায় চাকরি থেকে বাদ দেয়ার ভয়ভীতি দেখাতো ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার রাতে ইউপি সদস্যের সঙ্গে দেখা হলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে মারধর করেন। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা ইউপি সদস্যের নিকট আমাকে মারধরের কারণ জানতে গেলে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমরা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ছিলাম। এতে আমার পরিবারের সাত জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে মামলার হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
